সানজিদা আক্তার সান্তনা : আতা ফল খেতে যেমন সুস্বাদু ঠিক তেমনি এর রয়েছে নানান রকম পুষ্টিগুন। ভিটামিন এ, ফাইবার, ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি ৬, কপার, আয়রন ইত্যাদির খুব ভালো উৎস আতা ফল। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে আতা ফল।

এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান জাহানারা আক্তার সুমন।

আতা একটি মিষ্টি জাতীয় ফল। এতে ক্যালরির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। এছাড়া কিছু ভিটামিন, প্রোটিন, ও যথেষ্ট পরিমাণ মিনারেলও আছে। প্রধান ভিটামিন উপাদানগুলোর মধ্যে ভিটামিন-সি, ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স থাকে। মিনারেল উপাদান গুলোর মধ্যে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন অন্যতম।

আসুন জেনে নেই আতা ফলের কার্যকারিতা সম্পর্কে-

কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখে
ক্যান্সার রোধে সাহায্য করে
দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে
হজমে সাহায্য করে
চুল পড়া বন্ধ করে
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা প্রতিরোধ করে
ডায়াবেটিস এর সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে
একইসাথে ত্বকের সুরক্ষায় বেশ উপকারী এই ফল

উপকারিতা
আতা ফলে থাকা ভিটামিন-সি একটি শক্তিশালি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি বাড়ায়। এছাড়া ভিটামিন–সি ক্যানসারের মতো মারাত্মক রোগ সৃষ্টিকারী ফ্রি রেডিকেলস প্রতিরোধেও সহায়তা করে।

আতা ফলের মধ্যে সবেচেয়ে বেশি থাকে ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স। ভিটামিন বি-৬ নিউরো ট্রান্সমিটারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। স্ট্রেসফুল জীবনযাপনের কারণে অনেক বেশি হতাশা বা হীনমন্যতা তৈরি হয়। এসব হতাশা প্রতিরোধে ভিটামিন বি-৬ খুব বেশি সহায়তা করে। এ কারণে মানসিক সুস্থতার জন্য আতা সবচেয়ে কার্যকর।

আতার অন্য একটি উপাদান ক্যারটিন অয়েড, যা আমাদের চোখের সুস্থতায় এবং দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে, যা আমাদের শরীরের হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।

আতায় থাকা খনিজ উপাদানগুলো আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। হার্টের মারাত্মক রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়া ডায়াবেটিস প্রতিরোধেও বড় ভূমিকা রয়েছে আতার।