লাইফ স্টাইল | তারিখঃ অক্টোবর ২৯, ২০২৪ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 3549 বার
গ্রামের সংবাদ ডেস্ক : গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে পতন হয় বিগত সরকারের। এরপর দেশের শাসনভার গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ক্ষমতা নিয়েই বাজার সিন্ডিকেটসহ নানা অনিয়ম ও আর্থিক খাত সংস্কারের ঘোষণা দেয় এ সরকার। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর অনেক কিছু বদলালেও, উল্টোচিত্র বাজারে। চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেটে হয়েছে কেবল মুখবদল। ফলে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দাম এখনও পকেট কাটছে ভোক্তাদের। বর্তমানে বাজার ব্যবস্থায় এমন পর্যায় তৈরি হয়েছে, যা মানুষের নাভিশ্বাস উঠার মত অবস্থা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ এখন বে-সামাল হয়ে পড়ছে। দিন দিন কেবল বাড়তির খবর শুনছে মানুষ। কমতির খবর নেই। এমন বাড়তির খবর শুনতে শুনতে মানুষের এখন জীবন চালানোই দায় হয়ে পড়ছে। আবার দেখা যায়, বাংলাদেশের বাজার পরিস্থিতি অনেকটা ভারতের পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। ভারতে কোনো পণ্যের মূল্য বাড়লে এ দেশেও বেড়ে যায়, না হলে পণ্য পাচার হয়ে যায়। বর্তমান সরকার অবশ্য ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পণ্যের শুল্ক কমিয়ে দিয়েছে। ভোক্তারা এ সিদ্ধান্তের সুফল পাচ্ছে না বাজার সিন্ডিকেটের কারণে। এই কথিত সিন্ডিকেট সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্ত তারা গ্রাহ্য করছে না। এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সাধারণ ভোক্তাদের সুবিধার জন্য টিসিবির মাধ্যমে খোলাবাজারে (ট্রাকে করে) পণ্য বিক্রির নতুন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। টিসিবির ট্রাক থেকে একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্য তেল (সয়াবিন বা কুঁড়ার তেল), ৫ কেজি চাল ও ২ কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবেন। এর মধ্যে প্রতি লিটার ভোজ্য তেলের দাম রাখা হবে ১০০ টাকা। প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা ও মসুর ডাল ৬০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু এটি সমাধান নয়। বাজারের চাল, চিনি, পেঁয়াজ, তেল, আলু, সবজিসহ সবকিছু সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। এই সিন্ডিকেট নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে লুটে নিচ্ছে সাধারণ মানুষের কষ্টের অর্থ। রাষ্ট্র সংস্কারের সমান্তরালে এই সিন্ডিকেট দমনও জরুরি। বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া ও তাদের সাজার আওতায় আনার বিকল্প নেই। জনগণকে স্বস্তি ও সিন্ডিকেটমুক্ত বাজার তৈরি করতে সরকারকে আরো কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। কৃষকদের জন্য বাজার তৈরি করতে হবে, যেন ভোক্তারা সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে পণ্য কিনতে পারেন, পাশাপাশি বাজারে প্রতিদিন মনিটর করতে হবে। সর্বোপরি সরকারকে আরো কঠোর হতে হবে। বন্ধ করতে হবে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য।