আব্দুল্লাহ আল-মামুন : বেনাপোল বন্দরে ভারত থেকে আমদানির মিথ্যা ঘোষণায় আনা ৮০ কোটি টাকার ফেব্রিকস আটক করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ২০ কোটি টাকা মূল্যের চারটি চালানের ওই পণ্য আটক করা হয়।

কাস্টমস সূত্র জানায়, আটক পণ্যের আমদানিকারক দিনাজপুরের রোজামনি এন্টারপ্রাইজ। রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের সুন্দরী ফ্যাশন। পণ্যে ঘোষণা দেওয়া আছে সিনথেটিক ফেব্রিকস, কিন্তু আছে সব শার্টিং ফেব্রিক্স ও ভেলভেট ফেব্রিক্স।

মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে সিনথেটিক ফেব্রিক্সের স্থলে শার্টিং ফেব্রিক্স, চিনাউল ফেব্রিক্স ও ভেলভেট ফ্রেবিক্স আমদানি করা হয়েছে। পণ্য চালানটি বন্দরে প্রবেশের সময় ওয়েইং স্কেলে ৮ টন মালামাল বেশি থাকলেও স্কেলে কর্মরত বন্দরের কর্মকর্তা সন্দীপ রায় মালামাল সঠিক আছে বলে ওজন স্লিপ প্রিন্ট করে দেন।

সূত্র জানায়, পণ্য চালানগুলো খালাসের দায়িত্বে আছেন, বেনাপোলের সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট তৃণা অ্যাসোসিয়েটস ও অনন্তা এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড। শরিফুল ইসলাম নামে এক যুবক এই দুটি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স ভাড়া করে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছেন।

পণ্য চালানগুলো খালাসের দায়িত্বে থাকা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘পণ্য চালানগুলো খালাসের দায়িত্ব আমার। আমার নিজের কোনও লাইসেন্স নেই, ভাড়া লাইসেন্সে দিয়ে কাজ করি। তবে মালামালগুলো কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এখনও পরীক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করেনি।

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ওয়েট স্লিপ কম্পিউটার জালিয়াতি করে শরিফুল প্রতিনিয়ত রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছেন। যা তদন্ত করলে ধরা পড়বে।

বেনাপোল কাস্টমের কমিশনার আব্দুল হাকিম বলেন, আমাদের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পণ্য চালানগুলো ভারতীয় ট্রাক থেকে বন্দরের শেডে আনলোড করা হয়েছে। তবে শতভাগ কায়িক পরীক্ষণ কার্যক্রম যত দ্রুত সম্ভব সম্পন্ন করা হবে। বর্তমানে বেনাপোল বন্দরে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করা হয়েছে। অনিয়ম করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।