অর্থ ও বাণিজ্য, খুলনা বিভাগ, জেলার খবর, মাগুরা | তারিখঃ সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 170330 বার
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত সাতজন ব্রিটিশ ব্যবসায়ীকে একটি মামলায় গ্রেফতার করে আটদিন কারাগারে রাখার পর বৃহস্পতিবার তারা জামিন পেয়েছেন।
বাংলাদেশে তাদের প্রতিষ্ঠিত একটি ইনস্যুরেন্স কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম-এ যোগ দিতে ঢাকায় গেলে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
তাদের ইনস্যুরেন্স কোম্পানির কাছ থেকে বীমার টাকা না পেয়ে চারজন গ্রাহক মামলা করলে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
কিন্তু বাংলাদেশি-বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই সাতজনকে হয়রানি করার জন্যই এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তারা মনে করছেন, এর ফলে ভবিষ্যতে ব্রিটেন প্রবাসীরা বাংলাদেশে এসে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত হতে পারে।
বাংলাদেশি বিনিয়োগ করতে এমনিতেই অনেক সমস্যা হয় বলে অভিযোগ আছে।
মাগুরার তিনজন এবং ঝিনাইদহের এক ব্যক্তি মাগুরায় মামলাটি দায়ের করেছিলেন। তাদের অভিযোগ হচ্ছে, হোমল্যান্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে তাদের বীমার মেয়াদ শেষ হলেও তারা টাকা পাচ্ছেন না।
হোমল্যান্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির সাতজন পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। তারা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ব্যবসায়ী।
সাতজন পরিচালকের আইনজীবী একেএম শফিকুজ্জামান মাগুরা থেকে বিবিসি বাংলাকে বলেন, বৃহস্পতিবার তাদের ঢাকা থেকে মাগুরার আদালতে আনা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
“যদিও এই কোম্পানির একজন চেয়ারম্যান আছে, একজন এমডি আছে, আরো তিনজন ডাইরেক্টর আছে। কারো বিরুদ্ধে মামলা করে নাই। শুধুমাত্র সাতজন লন্ডন প্রবাসীর বিরুদ্ধে মামলা করা হইছে,” বলেন আইনজীবী মি. শফিকুজ্জামান।
“প্রতিপক্ষরা তাদেরকে মামলায় গ্রেফতার করাইছে এবং এ মামলাটা করাইছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে।”
তবে এখানে ‘প্রতিপক্ষ’ কারা সেটি ব্যাখ্যা করেননি আইনজীবী শফিকুজ্জামান।
ব্রিটিশ ব্যবসায়ীদের বিস্ময়
হোমল্যান্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি গঠিত হয় ১৯৯৬ সালে এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় তাদের শাখা রয়েছে।
এই কোম্পানির চেয়ারম্যান ছাড়াও আরো ১০জন পরিচালক আছেন। তাদের মধ্যে সাতজন ব্রিটেনে, একজন আমেরিকায় থাকেন।
এছাড়া চেয়ারম্যান এবং আরো দুইজন পরিচালক বাংলাদেশে থাকেন।
কিন্তু বীমার টাকা না পাওয়ায় বেছে বেছে সাতজনের নামে মামলা করার বিষয়টিতে বিস্ময় প্রকাশ করছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ব্যবসায়ীরা।