সানজিদা আক্তার সান্তনা : ডিম’কে ‘পাওয়ার হাউজ অব নিউট্রিশন’ বলা হয়, পুষ্টির আধার যার অর্থ। প্রাণীজ প্রোটিনের মধ্যে ডিম অন্যতম। আদর্শ প্রোটিন ফ্যাক্টরি এই ডিমে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা হৃদরোগসহ অনেক রোগের বিরুদ্ধে বেশ কার্যকরী।

পুষ্টিগুণে ভরা এই ডিম প্রতি বেলা খেলে হিতে বিপরীত ঘটার আশঙ্কাও থাকে। তাই দিনে দুটির বেশি ডিম খাওয়া কখনোই ভালো নয়, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

সকালের সহজ নাশতা হিসেবে ডিম, আর পাউরুটি টোস্টের কথাই সিংহভাগ কর্মজীবীর মাথায় আসে। অন্যদিকে ঘরে বাজার না থাকলেও রাতের খাবারের তালিকায় স্থান পাচ্ছে ডিম। একদিকে যেমন পুষ্টির বিষয়টি ঠিকঠাক থাকছে, অন্যদিকে ঝটপট খাবার তৈরি করাও সম্ভব হচ্ছে।

কিন্তু প্রতিদিনের খাবার তালিকায় ঠিক কয়টি ডিম থাকা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো?

পুষ্টিবিদ কেরি গানস তার ‘দ্য স্মল চেঞ্জ ডায়েট’ নামের বইটিতে উল্লেখ্য করেছেন, এক সপ্তাহে এক ডজন ডিম একজন ব্যক্তির জন্য পর্যাপ্ত। সেই হিসাব অনুযায়ী প্রতিদিন দুটি ডিম খেলে আপনাকে পড়তে হবে না স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে।

ডিম খেতে ভালোবাসেন যারা তাদের জন্য এটি সুখবর। কেননা, দিনে দুটো ডিম খাওয়া যাবে কোনো ঝামেলা ছাড়াই, তবে এখানেও একটা বিবাদ আছে বলে উল্লেখ করেছেন কেরি।

তিনি বলেছেন, দিনে দুটি ডিম খাওয়া যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে তার খাদ্যতালিকার দিকেও। কেননা, এমন যদি হয় যে সে আগেই পর্যাপ্ত চর্বি গ্রহণ করেছে তাহলে তার জন্য দিনে দুটি ডিম খাওয়া ঠিক হবে না। যদি দুটো ডিমের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পনির একসঙ্গে খাওয়া হয় তাহলে ক্যালরি গ্রহণ করা পরিমাণের তুলনায় বেশিই হবে। যদি একটু অলিভ অয়েল, লবণ ও গোলমরিচ দিয়ে ডিম ভেজে খাওয়া হয় সেক্ষেত্রে দিনে দুটি ডিম খাওয়া যেতেই পারে। কিংবা সঙ্গে যদি থাকে পর্যাপ্ত সবজি।

সব মিলে বলা চলে দিনে কয়টা ডিম খাওয়া যাবে, সেটা সম্পূর্ণই নির্ভর করে সারাদিন গ্রহণ করা আমাদের অন্যান্য খাবারের ওপর। মোটামুটি আকারের ডিমে রয়েছে ৮০ ভাগ ক্যালরি, ৫ গ্রাম ফ্যাট এবং ৬ গ্রাম প্রোটিন। তাই যদি এমনটা হয় যে, সারাদিন অন্যান্য খাবার থেকে পর্যাপ্ত প্রোটিন এবং ফ্যাট সংগ্রহ করা হয়ে থাকে তাহলে দুটি ডিম খাওয়া আপনার জন্য ভালো কিছু নয়।

অনেকে বলেন, বয়স চল্লিশের বেশি হলে তখন কুসুম না খেলেই ভালো। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এটা একদম ভুল। কিডনির অসুখে ডিমের কুসুম খেতে নিষেধ করা হয়। অন্যথায় বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে ডিমের প্রয়োজনীয়তাও বাড়ে।