রাজমা খিচুড়ি
উপাদান
চিনিগুড়া পোলাওর চাল, নাজিরশাইল চাল, বাসমতি রাইস, সবুজ মুগডাল, মুগডাল, মশুরডাল, মাসকালাই ডাল, বুটেরডাল, এলাচ, হলুদ, দারুচিনি, আদা

১০ মাস থেকে যেকোন বয়সী, ৬ থেকে ৭মাস, ৮ থেকে ৯ মাসের বাচ্চাদের খাবার নিয়ে যেন মায়েদের চিন্তার শেষ নেই। যখন থেকে একটা বাচ্চার সলিড শুরু তখন থেকে মায়েদের চিন্তা শুরু। বাচ্চা যখন খাবারের স্বাদ বুঝতে শিখে তখন চায় ভিন্ন ভিন্ন খাবার, আমরা বড়রা যেমন একি খাবার বার বার খেতে পছন্দ করি না, ঠিক আমাদের বাসার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য কলিজার টুকরা সোনামণিরাও চায় মজাদার এবং বিভিন্ন খাবার খেতে। তাই আপনার সোনামণিদের জন্য “জান্নত হোমমেড বেবি ফুড” নিয়ে এলো রাজমা খিচুরি মিক্সড। যা আপনার বাচ্চার খাবারে আনবে ভিন্ন স্বাদ। বাচ্চার এক রকম খাবার রোজ রোজ খেতে পছন্দ করে না তাই খাবারে প্রয়োজন ভিন্নতা। আর আমাদের সবসময় চেষ্টা আপনার বাচ্চার জন্য রুচি ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার তৈরি করা। তাই আপনি চায়লেই ট্রাই করতে পারেন “রাজমা খিচুরি মিক্সড।

আসুন জেনে নেই রাজমার পুষ্টিগুন
“রাজমা” তে প্রচুর ক্যালশিয়াম রয়েছে…রয়েছে ফাইবার, এন্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন C, D, B6, ক্যালশিয়াম, প্রোটিন, শর্করা, খনিজ (Minerals), কারকিউমিন (হলুদে বিদ্যমান যা মানবদেহে হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করতে সহায়ক), এছাড়াও প্রচুর আমিষ, ফাইবার এবং স্নেহজাতীয় উপাদান ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস রয়েছে।

রাজমার পরিচিতি
রাজমা ভারতীয় একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ও পুষ্টিকর খাবার। রাজমা এক ধরনের শিমবীজ। দেখতে গোলাকার এবং কিডনি বা যকৃৎ আকারের হয়ে থাকে। এ জন্য একে ইংরেজিতে কিডনি বিনস বলা হয়। পরিপক্ব শিমবীজে প্রচুর আমিষ, ফাইবার এবং স্নেহজাতীয় উপাদান রয়েছে। এ ছাড়া এতে আটটি প্রয়োজনীয় অ্যামিনো এসিড রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই বীজের বাইরের গাঢ় রঙের আবরণে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এতে বিদ্যমান ফলেট নামক উপাদান এক ধরনের অ্যামিনো এসিড, যা হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক প্রতিরোধ করে। নিয়মিত খাবার হিসেবে গ্রহণ করলে হৃৎপিণ্ডসহ শরীরের অন্যান্য শিরা-উপশিরার স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়ের অতিরিক্ত আয়রনের প্রয়োজন মেটায়। এতে সঞ্চিত ম্যাঙ্গানিজ দেহের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। এটি ক্যান্সার প্রতিরোধ করে এবং নার্ভাস সিস্টেমের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। এর দ্রবণীয় ফাইবার রক্তের শর্করা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই বীজের ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম হাড় গঠন এবং হাড়ের ক্ষয়রোধ করে।

এজন্য আপনার ছোট্ট সোনামনির শারীরিক ও মানসিক বেড়ে ওঠার জন্য রাজমা খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। শুধু তাইই নয়! ছোট-বড় সকলেই এই পুষ্টিকর খিচুরি মিক্স খেতে পারবেন বিশেষ করে ডায়াবেটিক রোগী ও গর্ভবতী মায়েদের জন্য খুবই উপকারী।