খুলনা, খুলনা বিভাগ, জেলার খবর | তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 1823 বার
খুলনা জেলা প্রতিনিধি:ছাত্রলীগে কেন্দ্রীয় সাবেক বাহাদুর ব্যাপারীর একান্ত সহচর শেখ হাসিনা সরকারের আর্শীবাদপুষ্ট কর্মকর্তা ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা‘র’র এজেন্ট খুলনার নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের অপসারনের দাবিতে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে নাগরিক সমাজ।
পরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফের কাছে হস্তান্তর করেন নেতৃবৃন্দ। রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় খুলনার সর্বস্তরের নাগরিক প্রতিনিধিদের অংশগ্রহনে নগরীর নূরনগরস্থ বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্রের সামনে সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশের পর বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে সা¥রকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, খুলনার নতুন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম (১৫৫৩৫) ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। ১৯৯৮ সালে থেকে টানা চার বছর ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি বাহাদুর বেপারীর একান্ত সহযোগী হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন। ২৪তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌলভীবাজারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেছিল। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের হত্যাযজ্ঞে দলীয় বিবেচনায় মাঠ প্রশাসন সাজিয়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান প্রশমনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এই জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। ইতিমধ্যে গত ১৩ সেপ্টেম্বর খুলনা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পদ থেকে মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে গণহত্যায় সহযোগিতা করার অপরাধে অভিযুক্ত করে তার অপসারণের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছেন খুলনার সচেতন নাগরিক সমাজ। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সহস্রাধিক জীবনের বিনিময়ে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ছাত্রলীগের চিহ্নিত নেতা, বিতর্কিত কর্মকর্তার হাতে ছেড়ে দেয়া যায় না। তাই অবিলম্বে খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ সাইফুল ইসলামকে খুলনা থেকে অপসারন করে খুলনায় সৎ যোগ্য ও নিরপেক্ষ জেলা প্রশাসক নিয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সহ-সভাপতি মানবজমিনের খুলনা ব্যুরো প্রধান কর্মসূচির সমন্বয়ক মো. রাশিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসব কর্মসূচিতে উপস্থিত ও একত্মা প্রকাশ করেছেন বিএমএ খুলনার সাবেক সভাপতি ডাঃ রফিকুল হক বাবলু, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য জোট খুলনার সভাপতি অধ্যাপক মনিরুল হক বাবুল, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাড. সেখ আব্দুল আজিজ ও শেখ নুরুল হাসান রুবা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মোল্লা মশিয়ুর রহমান, সাবেক সহ-সভাপতি এ্যাড. আক্তার জাহান রুকু, এ্যাড. হালিমা আক্তার খানম ও সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক চৌধুরী তৌহিদুর রহমান তুষার, খুলনা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মোঃ মনিরুল ইসলাম, দৈনিক নয়াদিগন্তের খুলনা ব্যুরো প্রধান মোঃ এরশাদ আলী, দৈনিক খুলনাঞ্চল সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান মিল্টন, বাংলাভিশনের খুলনা ব্যুরো প্রধান আতিয়ার পারভেজ, এমইউজে খুলনার সদস্য আশরাফুল ইসলাম নূর, এসএ টিভি’র ব্যুরো প্রধান রকিবুল ইসলাম মতি, কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটি সভাপতি এমএ জলিল, বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশেনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা রেহানা আখতার, খুলনা মহানগর শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহমেদ, নাগরিক ফোরামের নেতা ইকবাল হাসান, ব্যাংকার্স অফিসার কল্যাণ সমিতির অরিদুল হক, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খান জুলফিকার আলী জুলু, বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মনিরুজ্জামান লেলিন, বায়তুন নূর জামে মসজিদের সভাপতি মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান হাওলাদার, লৌহজাত ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু সাঈদ শেখ, বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহাগ দেওয়ান এবং হকার্স এসোসিয়েশেনের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোস্তফা পাটোয়ারী প্রমুখ।