০৪:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে দ্রুত দেশে ফিরছেন বহু বাংলাদেশি

নিউজ ডেস্ক

গ্রামের সংবাদ ডেস্ক : যুদ্ধের আবহে বাংলাদেশিদের ঘরে ফেরার হিড়িক। বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্তে।

অপারেশন সিঁদুর কার্যকর হওয়ার পরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় এ দেশে আসা বাংলাদেশিদের অনেকে মনে করছেন, পেট্রাপোল সীমান্তেও তার প্রভাব পড়তে পারে। সে কারণে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে এ দেশে চিকিৎসার জন্য আসা বাংলাদেশিরা অনেকেই দ্রুত দেশে ফিরে যাচ্ছেন।

মিরাজুদ্দিন নামে এক বাংলাদেশির কথায়, ‘‘কিডনির সমস্যা নিয়ে ভারতে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলাম। আরও কয়েকটা দিন থাকার কথা ছিল। কিন্তু সীমান্তে কোনও সমস্যা হতে পারে, এ কথা ভেবে চিকিৎসা শেষ না করেই দ্রুত দেশে ফিরে যাচ্ছি।’’ দেশে ফিরে যাওয়া বাংলাদেশিদের দাবি, তাঁরা চান, প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকুক। দ্রুত ভারত-পাকিস্তান এবং ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে স্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হোক। তা না হলে সাধারণ মানুষের উপরে বিরূপ প্রভাব পড়বে।

বৃহস্পতিবার পেট্রাপোল বন্দরে গিয়ে দেখা গেল, ফরিদপুরের এক বাসিন্দা দেশে ফিরছিলেন। বললেন, ‘‘কয়েক দিন আগে ভারতে এসেছিলাম। কাজ মিটতে আরও দু’দিন সময় লাগত। কিন্তু শুনেছি, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। তার প্রভাব পড়তে পারে সীমান্ত দিয়ে যাতায়াতে। তাই কাজ না মিটিয়েই দ্রুত দেশে ফিরে যাচ্ছি।’’

দেশে ফিরছিলেন মহম্মদ শেখ সেলিমও। বললেন, ‘‘আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিলাম। কিন্তু সীমান্তে সমস্যা হতে পারে ভেবে দেশে ফিরে যাচ্ছি।’’ তাঁর কথায়, ‘‘ভারত-পাকিস্তান এবং ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি হোক।’’

এ দেশে আসা এক বাংলাদেশির কথায়, ‘‘কিছু মানুষের জন্যে ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে।’’ সোশ্যাল মিডিয়ার নানা প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘‘আমরা এ সব কথাবার্তা সমর্থন করি না।’’

পেট্রাপোল বন্দরে মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্রের মালিক কার্তিক ঘোষ জানালেন, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার আবহে বাংলাদেশিদের মধ্যেও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘বাংলাদেশিরা আমাদের ফোন করে পরিস্থিতি কী হতে পারে জানতে চাইছেন। বুধবার অনেকে বাংলাদেশি ফিরে গিয়েছেন।’’ গত বছর অগস্টে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই যাত্রী কমে গিয়েছে পেট্রাপোলে। পহেলগামে জঙ্গি হামলার পর থেকে যাত্রী আরও কমেছে বলে জানাচ্ছেন বন্দরে বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত মানুষজন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ১১:০৭:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
২৮

উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে দ্রুত দেশে ফিরছেন বহু বাংলাদেশি

আপডেট: ১১:০৭:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

গ্রামের সংবাদ ডেস্ক : যুদ্ধের আবহে বাংলাদেশিদের ঘরে ফেরার হিড়িক। বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্তে।

অপারেশন সিঁদুর কার্যকর হওয়ার পরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় এ দেশে আসা বাংলাদেশিদের অনেকে মনে করছেন, পেট্রাপোল সীমান্তেও তার প্রভাব পড়তে পারে। সে কারণে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে এ দেশে চিকিৎসার জন্য আসা বাংলাদেশিরা অনেকেই দ্রুত দেশে ফিরে যাচ্ছেন।

মিরাজুদ্দিন নামে এক বাংলাদেশির কথায়, ‘‘কিডনির সমস্যা নিয়ে ভারতে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলাম। আরও কয়েকটা দিন থাকার কথা ছিল। কিন্তু সীমান্তে কোনও সমস্যা হতে পারে, এ কথা ভেবে চিকিৎসা শেষ না করেই দ্রুত দেশে ফিরে যাচ্ছি।’’ দেশে ফিরে যাওয়া বাংলাদেশিদের দাবি, তাঁরা চান, প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকুক। দ্রুত ভারত-পাকিস্তান এবং ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে স্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হোক। তা না হলে সাধারণ মানুষের উপরে বিরূপ প্রভাব পড়বে।

বৃহস্পতিবার পেট্রাপোল বন্দরে গিয়ে দেখা গেল, ফরিদপুরের এক বাসিন্দা দেশে ফিরছিলেন। বললেন, ‘‘কয়েক দিন আগে ভারতে এসেছিলাম। কাজ মিটতে আরও দু’দিন সময় লাগত। কিন্তু শুনেছি, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। তার প্রভাব পড়তে পারে সীমান্ত দিয়ে যাতায়াতে। তাই কাজ না মিটিয়েই দ্রুত দেশে ফিরে যাচ্ছি।’’

দেশে ফিরছিলেন মহম্মদ শেখ সেলিমও। বললেন, ‘‘আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিলাম। কিন্তু সীমান্তে সমস্যা হতে পারে ভেবে দেশে ফিরে যাচ্ছি।’’ তাঁর কথায়, ‘‘ভারত-পাকিস্তান এবং ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি হোক।’’

এ দেশে আসা এক বাংলাদেশির কথায়, ‘‘কিছু মানুষের জন্যে ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে।’’ সোশ্যাল মিডিয়ার নানা প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘‘আমরা এ সব কথাবার্তা সমর্থন করি না।’’

পেট্রাপোল বন্দরে মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্রের মালিক কার্তিক ঘোষ জানালেন, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার আবহে বাংলাদেশিদের মধ্যেও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘বাংলাদেশিরা আমাদের ফোন করে পরিস্থিতি কী হতে পারে জানতে চাইছেন। বুধবার অনেকে বাংলাদেশি ফিরে গিয়েছেন।’’ গত বছর অগস্টে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই যাত্রী কমে গিয়েছে পেট্রাপোলে। পহেলগামে জঙ্গি হামলার পর থেকে যাত্রী আরও কমেছে বলে জানাচ্ছেন বন্দরে বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত মানুষজন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)