বিল্লাল হোসেন, ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি।। ময়মনসিংহের ভালুকায় সরকারি ভিপি ক: খতিয়ানভুক্ত জমিতে তোলা হচ্ছে বহুতল ভবন, বছর লীজকৃত জমি থাকলেও প্রায় ৩০বছরের টাকা বকেয়া থাকার অভিযোগ উঠেছে।

সরজমিনে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কাগজপত্র দেখে জানা যায়, উপজেলার বরাইদ গ্রামের শিলাসিপাড়ার মৃত: ইদু খানের ছেলে লোকমান হেকিমগং এর নামে লোহাবই মৌজার সরকারি ভিপি ক: খতিয়ানভূক্ত (৪৬৫ নং খতিয়ানের) (৩৯০ নং দাগে,(১২ শতাংশ), (৩৬২ নং দাগে ৪১ শতাংশ),(৩৬০ দাগে ২.৪২ শতাংশ), (৩৬১ দাগে ১১ শতাংশ), (৩৬৯ দাগে ১৭) শতাংশ, (৩৫৯ দাগে ৪৪ শতাংশ) মোট ৩.একর ৬৭ শতাংশ) জমি লীজ নেয়। এসব লীজকৃত জমিগুলো প্রতিবছরে বছর, নবায়ন করতে হয়।

উক্ত লীজকৃত জমিতে লীজ মালিকের এক মৎস্য খামারও রয়েছে। তবে এখনো ওই লীজকৃত জমির নবায়নের টাকা জমা দেওয়া হয়নি। ওই লীজকৃত জমির (১৯৮৮ সনের লীজ মানি ও বেট বকেয়া রয়েছে। লীজ মানি ও বেট পরিশোধের জন্য ২৯/১২/২০২১ইং পরিশোধ না করায় লীজ বাতিলের জন্য। উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার লোকমান হেকিম গং কে সতর্ক নোটিশ দেয়। স্থানীয় দালাল দলিল লেখক মাহফুজ ও লীজ মালিক লোকমান হেকিম ও বুলবুল, রেজাকগংসহ ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যোগসাজশ করে বুলবুলগংরা বহুতল ভবন নির্মাণ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এবিষয়ে বুলবুলগংকে ঘটনাস্থলে না পেয়ে তার মুঠোফোনে জানতে চাইলে বুলবুলগং স্বীকার করে বলেন, লোকমান হেকিমের কাছ থেকে দখলকৃতভাবে ৮০ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করিয়া বাড়ির নির্মাণকাজ করছি।

লোকমান হেকিম ও তার ছেলে আরিফ দু’জনেই বিক্রয়ের কথা স্বীকার করে।

স্থানীয় সুশীল সমাজ বলছে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি অফিস জড়িত, ফলে এলাকায় গুঞ্জন উঠেছে।

মেদুয়ারী ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকতা আমিনুল ইসলাম জানান, আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভবন নির্মাণ কাছ বন্ধ করে দিয়েছি এবং লোকমান হেকিম কে তার সকল কাগজপত্র নিয়ে ভালুকা উপজেলা ভূমি অফিসে যোগাযোগ করার জন্য।
ভালুকা উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকতা রফিকুল ইসলাম (রফিক) জানান, লোকমান হেকিমের নামে লীজ নেওয়া আছে বলেও নিশ্চিত করেন।