বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : দেড় দশক আগে স্টিভ জোবস তিনটি নতুন পণ্যের কথা ঘোষণা করেছিলেন- মিউজিক প্লেয়ার, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগের যন্ত্র। তৎকালীন অ্যাপল প্রধান স্টিভ জোবস যখন নতুন পণ্যের বিষয়টি দর্শকদের সামনে হাজির করলেন, সকলে চমকে গেল। দর্শকেরা বুঝতে পারলেন স্টিভ জোবসের ঘোষণা করা তিনটি পণ্য আসলে মাত্র একটি পণ্য; আর সেটি হলো ‘আইফোন’! অসাধারণ বিস্ময়ের মধ্যে দিয়ে শুরু হলো নতুন প্রযুক্তির যুগ।

স্মার্টফোন এখন কিন্তু আর ‘নতুন প্রযুক্তির যুগ’-এর সূচক নয়। এখন সে অনেকটাই পুরনো এক গ্যাজেট। আধুনিক প্রজন্ম যেন আরো আধুনিক কিছু চাইছে। স্মার্টফোনের ব্যবসাও ধীরে ধীরে স্তিমিত হয়ে আসছে বলেই খবর। তার প্রমাণও দেখা দিতে শুরু করেছে।

২০১৬ সাল থেকে ধীরে ধীরে ফোন বিক্রি কমছে। কারণ, স্মার্টফোন-প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনো অগ্রগতি এর মধ্যে ঘটেনি। মানুষ তাই স্মার্টফোনের পিছনে দৌড়নো কমিয়ে দিয়েছে। ধনী দেশগুলোতে এখন প্রায় সব মানুষের হাতেই পৌঁছে গেছে স্মার্টফোন। অর্থাৎ, নতুন করে স্মার্টফোন বিক্রির জায়গাও কমেছে। ফলে প্রযুক্তি উদ্ভাবকদের নতুন করে চিন্তাভাবনা করতেই হচ্ছে।

আগে স্মার্টফোনের মাধ্যমে যেটা সম্ভব হয়েছিল, সে রকমই বা তার চেয়েও আরো আধুনিক, আরো জটিল নতুন কোনো প্ল্যাটফর্মের আশায় রয়েছেন উদ্ভাবকেরা। আশা জাগাচ্ছে ‘অগমেন্টেড রিয়েলিটি’ বা ‘এআর’। বিশেষ এক চশমা। এ চশমার মাধ্যমে বাস্তব জগতের সঙ্গে কম্পিউটার গ্রাফিক যুক্ত হলে নতুন অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। এই প্রযুক্তির সাহায্যে ব্যবহারকারী কম্পিউটার সফটওয়্যারের মাধ্যমে বাস্তব জগতের বস্তু ও মানুষের মধ্যে সমন্বয়সাধন করতে পারবেন। চশমার মাধ্যমে কথোপকথন চালানো ছাড়াও প্রয়োজনীয় নানা কাজ সারা যাবে। কিন্তু এ ধরনের চশমা বাজারে আসতে আরো কিছু দিন দেরি হতে পারে।

অ্যাপল, গুগল, মেটা ও মাইক্রোসফটের মতো প্রতিষ্ঠান ভিআর বা এআর হেডসেট তৈরি বা বিক্রিতে কাজ করছে। বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, এখন পর্যন্ত ভিআর বা এআর হেডসেটের বাজারটি খুবই সীমিত বাজার হিসেবেই চিহ্নিত। তবে শিগগিরই এ বাজার মূলধারার বাজারে পরিণত হবে এবং এই গ্যাজেটগুলো জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।