বুধবার (১৩ জুলাই) অপরূপ এক মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী হতে চলেছে পৃথিবীবাসী। এদিন রাতের আকাশে চলতি বছরের বৃহত্তম সুপার মুনের দেখা মিলবে। চাঁদ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে চলে আসবে। সুপারমুনের রাতে চাঁদ সাধারণের তুলনায় বড়, উজ্জ্বল ও গোলাপি আভা ছড়াতে দেখা যাবে।
জানা যাচ্ছে, বুধবার আকাশে যে সুপার মুন দেখা যাবে, পৃথিবী থেকে তার দূরত্ব হবে মাত্র ৩ লাখ ৫৭ হাজার ২৬৪ কিলোমিটার। চাঁদের এই কাছাকাছি আসা ও সুপার মুনের প্রভাব সমুদ্রে জোয়ার-ভাটায় পড়বে। এর ফলে পৃথিবীতে জোয়ারের প্রভাব বেশি হবে।

বুধবার যে ‘সুপার মুন’ দেখা যাবে, সেটিই বছরের সবচেয়ে বড় ‘সুপার মুন’। একে ‘বাক মুন’ও বলা হয়। ইংরেজি ‘বাক’ শব্দের অর্থ হল পুরুষ হরিণ। বহু পশ্চিমী দেশে এই সময়কালে হরিণের শিং বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। আর সেই ঘটনা থেকেই এই চাঁদের নাম ‘বাক মুন’। এছাড়াও হরিণ চাঁদ, থান্ডার মুন, হে মুন ও উইর্ট মুন হিসেবেও এটি পরিচিত। আমেরিকায় এই চাঁদকে সলমন মুন, রাস্পবেরি মুন ও ক্যালমিং মুনও বলা হয়।
বুধবার মধ্যরাত ১২টা ৮ মিনিটে এই চাঁদ দেখা যাবে। পরবর্তীকালে ২০২৩ সালে ৩ জুলাই আবার এই ‘বাক মুন’ দেখা যাবে।

চাঁদ যখন পৃথিবীর খুব কাছে অবস্থান করে, তখন চাঁদকে পৃথিবী থেকে তুলনামূলকভাবে অনেক বড় ও উজ্জ্বল দেখায়। পূর্ণ গোলাকার চাঁদের এই অবস্থাকেই ‘সুপার মুন’ বলা হয়। ‘সুপার মুন’ শব্দটার উৎপত্তি আধুনিক জ্যোতিষশাস্ত্রে, জ্যোতির্বিদ্যার সঙ্গে এর কোনও যোগসূত্র নেই।

১৯৭৯ সালে রিচার্ড নোল্লে প্রথম সুপার মুন শব্দের উল্লেখ করেন। এরপর আমেরিকার নাসার তরফে সুপার মুন শব্দটিকে গ্রহণ করা হয়। ১৯৭৯ সালের পর থেকে কার্যত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই সুপার মুন শব্দটি। বলা হয়, এই দিনে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে হাজির হয় চাঁদ।