রাজগঞ্জ প্রতিনিধি : প্রশাসনের নির্দেশনাকে তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন কোম্পানির লোগো ও মোড়ক হুবহুভাবে তৈরি করে নামে বেনামে ভেজাল চা পাতার রমরমা বাণিজ্য করছে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী।

জানাগেছে, স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা ভেজাল রং মেশানো চা পাতি এনে উন্নতমানের প্যাকেটে ভরে পশ্চিম মণিরামপুর তথা রাজগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন হাট-বাজারের চায়ের দোকানগুলোতে মোটর সাইকেলে হকারি করে বিক্রি করছে। উন্নতমানের প্যাকেটে ভরা ভেজাল চা পাতি কম দামে কিনে রাজগঞ্জ এলাকার চায়ের দোকানদাররা অবাধে সাধারণ জনগণের মাঝে বিক্রি করছে। যা মানুষের খাওয়ার অনুপযোগী এবং মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক।

সম্প্রতি কথা হয় রাজগঞ্জের এক শিক্ষকের সাথে। তিনি এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, বাজারের দোকান থেকে চা খাওয়া বাদ দিয়ে দিয়েছি। স্কুলের চাও খাচ্ছি না। কারণ, জানলাম, চা পাতিতে ব্যাপক ভেজাল দেওয়া হচ্ছে। ভেজালকারিরা না-কি, কাপড়ের রং, কাঠের গুড়োর সাথে মিশিয়ে চা পাতিতে ভেজাল দিচ্ছে। এসব ভেজাল খেয়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে চাই না।

রাজগঞ্জ বাজারের একটি চায়ের দোকানে বসে থাকা হাফিজুর রহমান ও কামাল জানান- দোকান থেকে আমরা যে চা খাচ্ছি আসলে, এটা চা পাতি কি-না আমাদের সন্দেহ আছে। কারণ, স্বাদ চায়ের মত না। এই চা খেলে মুখে দুর্গন্ধ হয়। তাহলে এটা কি চা, না অন্য কিছু।

রাজগঞ্জ বাজারের এক চায়ের দোকানদার (নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক) জানান, আমাদের কাছে কম দামের চা এবং বেশি দামের চা, দুই ধরনের চা পাতি রয়েছে। সুযোগ বুঝে ব্যবসা করতে হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজারে যে সমস্ত চা পাতিগুলো বিক্রি হচ্ছে, সেগুলো যদি জেভাল হয়, তা হলে খাওয়ার অনুপযোগী এবং তা খাওয়ার পর মানুষের দেহে গ্যাস্টিক, ক্যান্সারসহ বিভিন্ন জটিল রোগ হতে পারে।

সূত্রে জানাগেছে, কাপড়ের রং আর কাঠের গুড়া এক সাথে করে নিম্নমানের চা পাতির সাথে মিশিয়ে তৈরি করা হয় ভেজাল চা পাতি। আর এই ভেজাল চা পাতি ভারত থেকে চোরাকারবারিরা সরকারের শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাইপথে দেশে এনে থাকে চোরাকারবারিরা। তারপর লোক মারফত (হকার দিয়ে) চায়ের দোকানগুলোতে বিক্রি করা হয়। রাজগঞ্জ সচেতন সমাজ বলছেন, বিষয়টি নিয়ে জন সাধারণের মধ্যে সচেনতা বাড়াতে হবে এবং বিষয়টি প্রশাসনের নজরে দিতে হবে।