জাতীয় সংবাদ, যশোর | তারিখঃ ডিসেম্বর ২০, ২০২৪ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 9710 বার
যশোর অফিস : যশোরের শার্শা ও বাঘারপাড়ায় আওয়ামী লীগের ৪০২ জননেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে বিস্ফোরক আইনে মামলা করেছেন দুই ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা। এতে আসামি করা হয়েছে যশোর-১ এর সাবেক এমপি শেখ আফিল উদ্দিন, সাবেক উপজেলা চেয়াম্যান সোহারাব হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান সরদার, ইউপি চেয়ারম্যান কবির উদ্দিন তোতা, জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার বিপুল ফারাজী, রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনজুর রশীদ স্বপন, জহুরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান দিলু পাটোয়ারী, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভোলাসহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকদেরকে।
গত রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) শার্শার দক্ষিন বুরুজবাগান গ্রামের ছাত্রদল নেতা সাজেদুর রহমান সাজু বাদি হয়ে শার্শা থানায় বাদি হয়ে মামলা করেন। মামলায় উল্লেখ করেন, গত ১৪ ডিসেম্বর রাত ৯টায় বুরুজবাগান ভূমী অফিসের সামনে ১২৫ জন একত্রিত হয়ে বিজয় দিবস উপলক্ষে নাশকতা সৃষ্টির লক্ষে সমবেত হয়। এবং দুটি ককলেটের বিষ্ফোরন ঘটায়। এ মামলায় সাকিব নামের এক আওয়ামীলীগ নেতাকে আটক করে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাঘারপাড়ার বন্দবিলা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খোকন লস্কর বাদী হয়ে মামলাটি করেন। বাঘারপাড়ার মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত ইউনিয়ন পদযাত্রা কর্মসূচি চলাকালে ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ তোলা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বাঘারপাড়া থানার এ মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামি রায়পুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রাজা বাদশা, তানসেন, কবির ও জহিরকে গ্রেপ্তার করেছে বাঘারপাড়া থানা পুলিশ।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ১১ ফেব্রয়ারি বেলা সাড়ে ৩টায় বিএনপি, যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল কৃষকদলের ১২০ থেকে ১৫০ জন নেতাকর্মী বিএনপির পদযাত্রায় অংশ গ্রহণের জন্য উপজেলার বন্দবিলা ইউনিয়নের ভাটারআমতলায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হাতে দেশি অস্ত্রসস্ত্র, লাঠি, হকিস্ট্রিক, ছুরি, চাপাতি, রামদা নিয়ে পরিকল্পিতভাবে অতর্কিত হামলা করে। এসময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা রক্তাক্ত জখম হয়। ঘটনার সময় আসামিরা ৫ থেকে ৭টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শার্শা থানার একটি সুত্র মামলার বিষয়টিও নিশ্চিত করেন।
বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলিম বিষয়টি নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘মামলায় ৩০৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ৩৫০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে’। শুক্রবার সন্ধ্যার এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করার বিষয়টিও নিশ্চিত করেন ওসি।