নিজস্ব প্রতিবেদক : সংঘর্ষে নিহত চারজনের মরদেহ নিয়ে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বিভিন্ন স্লোগান দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা।

রবিবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বিক্ষোভকারীরা চারজনের মরদেহ নিয়ে যান। পরে চারজনের লাশ নিয়ে বিক্ষোভকারীরা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে যান। সেখান থেকে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ যাওয়ার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় আন্দোলনকারীরা এক দফা ও হত্যার প্রতিবাদে স্লোগান দেন। এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ থানাকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। পরে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ।

এদিকে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রাত আটটা পর্যন্ত সারাদেশে ১৪ পুলিশ সদস্য মোট ৯৩ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আহতত হয়েছেন আরও অসংখ্য মানুষ। হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে থানা, হাসপাতাল, আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দলের কার্যালয়, আদালত, পুলিশের গাড়িসসহ বিভিন্ন স্থাপনায়।

রবিবার (৪ আগস্ট) বেলা ১১টার দিক থেকে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। তবে এদিন দেশের বেশিরভাগ স্থানেই আন্দোলনকারীদের বাধা দেয়নি পুলিশ সদস্যরা। অন্যদিকে, বিভিন্ন স্থানে সড়কে অবস্থান নেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরও। এতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষে বেশিরভাগ স্থানে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

অন্যদিকে, সিরাজগঞ্জে এনায়েতপুর থানায় ঢুকে ১৩ পুলিশ সদস্যকে এবং কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলা চালিয়ে একজন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।