ক্যাম্পাস সংবাদ | তারিখঃ মে ১৫, ২০২৪ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 2783 বার
ডেস্ক রিপোর্ট : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের চার নেতাকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বহিষ্কার করেছে। সংগঠন বিরোধী, শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বহিষ্কৃত চার ছাত্রলীগ নেতা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি শাহিনুল ইসলাম সরকার ডন, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ, আশিকুর রহমান অপু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক কাবিরুজ্জামান রুহুল।
মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি শাহিনুল সরকার ডন, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক কাবিরুজ্জামান রুহুলকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো এবং তাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত জবাব উল্লেখিত ব্যক্তিদের আগামী ৭ দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হলো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ভোরের কাগজকে বলেন, মঙ্গলবার রাতে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সংসদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলে গত তিন চারদিন ধরে বহিরাগত ও স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিল,শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করছিল, তাদের বহিস্কার করেছে।
এর মাধ্যমে আবারো প্রমাণিত হলে ছাত্রলীগে অন্যায়কারীর জায়গা নাই, অন্যায়কারীর কোন দল বা পরিচয় থাকতে পারে না। অন্যায়কারীর পরিচয় শুধুই অন্যায়কারী। ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের শৃঙ্খলা বিরোধী কাজ করার পূর্বে ভাবতে বাধ্য হবে এবং দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখবে। ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বহিষ্কৃত নেতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শাহিনুল সরকার ডন বলেন, শনিবারের সোহরাওয়ার্দী হলের ঘটনায় আমি যুক্ত ছিলাম না। মারামরি শুরু হওয়ার আগে আমি চলে গেছি। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ আমাদের ৭ দিনের সময় দিয়েছে। আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে কথা বলবো।
বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ কথা বলতে রাজি হননি।
উল্লেখ্য, গত শনিবার রাত ১১টা থেকে রাত দুইটা পর্যন্ত ছাত্রলীগের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় এক পক্ষ অবস্থান নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে। অপর পক্ষ মাদার বখ্শ হলের দিকে অবস্থান নিয়ে এই হামলা চালায়।