গ্রামের সংবাদ ডেস্ক : আহাদ, রিয়া, সামির, হোসাইন, মোবারক, তাহমিদ, সাদ, ইফাত ও নাঈমা নামে ফুলের মতো শিশুগুলো সবে ফুটছিল। তবে আর বিকশিত হতে পারেনি।

বুলেটের আঘাতে ছোট্ট জীবনগুলো ঝরে গেছে কুঁড়িতেই। বাবার কোলের মতো নিরাপদ আশ্রয়েও তাদের আঘাত করেছে ঘাতক বুলেট। আবার কারফিউ মেনে ঘরের কোণে থেকেও কারো জীবনসৌরভ মুছে গেছে বারুদের গন্ধে।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে কয়েকদিনের সংঘর্ষে অন্তত ৯ শিশু গুলিতে নিহত হয়েছে। তাদের বয়স ৪ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। ১৮, ১৯ ও ২০ জুলাই তারা গুলিবিদ্ধ হয়। নিহত চারজন মারা গেছে নিজ বাড়িতেই। চারজন গুলিবিদ্ধ হয় সড়কে। সব ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে প্রাণ গেছে এ শিশুদের। এখনো চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ এমন কিছু শিশু।

আন্দোলনে যোগ দেওয়া ১৮ বছরের কম বয়সের কয়েকজন নিহত হওয়ার তথ্যও পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ১৬ বছরের ইফাত ২০ জুলাই যাত্রাবাড়ীতে নিহত হয়। তাকে পুলিশ হাসপাতাল থেকে নিয়ে বুকের বাঁ পাশে গুলি করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছেন।

ইফাত নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তার মা কামরুন নাহার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমার ছেলে কোনো অপরাধ করেনি। সে রাস্তায় পড়ে থাকা আহত একজনকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। তবু তার বুকে গুলি করা হলো।’