গ্রামের সংবাদ ডেস্ক : কোটা আন্দোলন ঘিরে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে মঙ্গলবার সরকারের দেশব্যাপী শোক পালনের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশ। নয় দফা দাবি আদায়ে মঙ্গলবার একক বা ঐক্যবদ্ধভাবে লাল কাপড় মুখে ও চোখে বেঁধে ছবি তোলা এবং অনলাইনে প্রচার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তারা।

সোমবার (৩০ জুলাই) রাতে আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. মাহিন সরকারের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচির কথা জানানো হয়।

এর আগে সোমবার দুপুরে মন্ত্রিসভার বৈঠকে দেশব্যাপী শোক পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শোক পালনের জন্য মঙ্গলবার কালো ব্যাজ ধারণ এবং মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে। এ ছাড়া মন্দির-গির্জা-প্যাগোডায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।

মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশজুড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিকে কেন্দ্র করে নির্বিচারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে শত শত শিক্ষার্থীর মৃত্যু ও হাজার হাজার ছাত্র-জনতা আহত হয়ে যখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে, তখনো শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে না নিয়ে একাত্তরের হানাদার বাহিনীর মতো মধ্য রাতে বাসা-বাড়িতে রেইড ব্লকের মাধ্যমে নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের তুলে নিয়ে রিমান্ডের নামে মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বর নির্যাতন চালানো হচ্ছে।”

এতে আরও বলা হয়, “বর্তমান সরকারের কর্তাব্যক্তিরা সংকট নিরসনে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে না নিয়ে প্রতিদিনই নির্মমভাবে শিক্ষার্থীদের দমন নিপীড়ন ও মানুষের জীবন থেকে রাষ্ট্রীয় সম্পদকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে সরকারের নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ায় প্রচার করছে এবং মিডিয়ার সামনে দেওয়া সরকারের কর্তাব্যক্তিদের মায়া কান্না প্রচার করছে।”

“রাষ্ট্রীয় বাহিনীর গণহত্যা ও নির্যাতনের বিচার না করে সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে প্রতিদিন যে নির্মম উপহাস করা হচ্ছে। তার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দেশব্যাপী শোক প্রত্যাখ্যান করে মঙ্গলবার লাল কাপড় মুখে ও চোখে বেঁধে ছবি তোলা এবং অনলাইনে ব্যাপক প্রচার কর্মসূচি করার জন্য অনুরোধ করছি,” বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।