নিজস্ব প্রতিবেদক : ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার ঘটনায় খাগড়াছড়ির পাহাড়ি এলাকা থেকে আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— ফয়সাল ও মুস্তাফিজ।

গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, এমপি আনারকে হত্যার পর বাংলাদেশে এসে নাম পাল্টে পার্বত্য এলাকার গহীন পাহাড়ের একটি মন্দিরে সনাতন ধর্মাবলম্বী সেজে আত্মগোপন করেন তারা।

বুধবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ডিএমপি ডিবির প্রধান হারুন অর রশীদ।

হেলিকপ্টারযোগে ৩০০ ফিটের পূর্বাচলে ১৮ নম্বর সেক্টরে বঙ্গবন্ধু ট্রাই টাওয়ারে অবতরণের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন হারুন।

ডিবিপ্রধান বলেন, গ্রেপ্তারকৃত দুজন একটি মন্দিরে পলাশ রায় ও শিমুল রায় পরিচয় দিয়ে থাকত। মাকে বেশি ভালোবাসে বলে সেখানেই ঘুমাত।

তিনি আরও বলেন, ‘অনেক দিন ধরে আমিসহ আমার টিম ঢাকা ও ঢাকার বাইরে অভিযান পরিচালনা করছি। সুন্দরবন, পাহাড়, সমুদ্রসহ নানা জায়গায় অবস্থান করছে বলে গোয়েন্দা তথ্য পাচ্ছিলাম। গতকাল খবর পেলাম দুই আসামি পাহাড়ে অবস্থান করছে। পড়ে কালই সেখানে আমাদের একটি টিম যায়। আমরা আজ আরেকটি হেলিকপ্টার নিয়ে সেখানে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করি। অভিযানে আমরা শিমুল ভুইয়ার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করি।

তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে থেকে ফয়সাল, মোস্তাফিজ, জিহাদ কিলিং মিশনে অংশ নেন। এই দুইজন আজকে গ্রেপ্তার হওয়ার সাথে সাথেই আমাদের কাছে সব কিছু স্বীকার করেছে। আমরা তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করব।

ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, পলাশ রায় ও শিমুল রায় নাম পরিচয়ে তারা সেখানে ২৩ দিন আত্মগোপনে ছিল।

গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামি একসময় পার্বত্য এলাকায় ট্রাক চালাতেন জানিয়ে তিনি বলেন, ড্রাইভারি করার কারণে তারা ওই এলাকা সম্পর্কে জানাত। এজন্য আত্মগোপনের জন্য ওই এলাকা বেছে নেয়।

তিনি বলেন, ‘আনার হত্যার পর এই দুই আসামি ১৯ মে বাংলাদেশে আসে। ২০ মে তাদের দুজনকে মাত্র ৩০ হাজার টাকা দেয়া হয়। তারা বিভিন্নভাবে দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিল।’

মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামান শাহীনকে গ্রেপ্তার করাই এখন মূল টার্গেট বলে জানান ডিবি কর্মকর্তা হারুন। বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টেলিজেন্সকে চিঠি দেয়া হয়েছে। ভারতের সঙ্গে আমেরিকার চুক্তি রয়েছে, তারাও চেষ্টা করছে ধরার। আমরাও চেষ্টা করছি।

এর আগে দুপুরে চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ির পার্বত্য এলাকার গহীন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে আনার হত্যার দুই আসামি ফয়সাল ও মুস্তাফিজকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে হেলিকপ্টারযোগে তাদের ঢাকায় আনা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ডিবির কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ।