১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

বেনাপোল বন্দর উদ্ভীদ সংগনিরোধ ভবনে ল্যাবে জনবল শুণ্য, পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধে ঝুঁকিতে কৃষিখাত

নিউজ ডেস্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক: বেনাপোল বন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ ভবন ল্যাবে জনবল শুণ্যে গত ৬ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে খাদ্যদ্রব জাতীয় কৃষি পণ্য ও কৃষি পণ্য উৎপাদনকারি বীজের পণ্য মান নির্নয় কার্যক্রম। এতে আমদানিকৃত কৃষিজাত পণ্যে কোন ভাইরাস আছে কিনা তা পরিক্ষা করতে না পারায় দেশের কৃষিখাত ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। তবে সংশিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, জনবল নিয়োগে উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের অবগত করা হয়েছে।

বানিজ্যিক সংশিষ্টরা বলছেন, ভারত থেকে যেসব পণ্য আমদানি হয় এসব পণ্যের মধ্যে বড় একটি অংশ রয়েছে কৃষিজাত পণ্য বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব ও কৃষি বীজ। তবে এসব খাদ্য দ্রবের গুনগত মান ঠিক আছে কিনা বা বীজ ভাইরাস মুক্ত কিনা তা নির্নয়ের জন্য বেনাপোল বন্দর উদ্ভীদ সংগনিরোধ কেন্দ্রে একটি আন্তর্জাতিক মানের ল্যাব রয়েছে। সেখানে পরীক্ষাগারে একজন টেকনেশিয়ান মান পরীক্ষার কাজ করতেন।

তবে এ প্রকল্পটি শেষ হওয়ায় ঐ টেকনেশিয়ানকে অনত্র বদলি করে কর্তৃপক্ষ। এতে ল্যাব জনশুণ্য হয়ে পড়ায় গত ৬ মাস ধরে বেনাপোল উদ্ভীদ সংগনিরোধ কেন্দ্রে মান নির্নয় কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে নিম্ন মানের খাদ্যদ্রব বা ভাইরাস যুক্ত বীজ আমদানিতে মানুষের স্বাস্থ্য ও কৃষি ক্ষাত ঝুকির কবলে পড়েছে। বর্তমানে এক্ষাতে জনবল নিয়োগ জরুরী হলেও তেমন গুরুত্ব নেই কর্তৃপক্ষের।

বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৪০০ ট্রাক পণ্য আমদানি হয়ে থাকে। যার মধ্যে শতাধিক ট্রাক থাকে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব ও কৃষি বীজ। ভারত থেকে যে কৃষিপণ্য আমদানি করার পর বেনাপোল বন্দর উদ্ভীদ সংগনিরোধ অফিসের ল্যাব বন্ধ থাকায় পরীক্ষা করাতে পারছেন না। বাইরে থেকে পরীক্ষা করাতে সময় ক্ষেপন ও বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে। দ্রুত সেখানে জনবল নিয়োগ দিয়ে ল্যাব সচলের দাবি জানাচ্ছি।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস এস্যাসোসিয়েশনের বন্দর বিষয়ক সম্পাদক মেহেরুল্লাহ জানান, এপথে ভারত থেকে বিভিন্ন গাছের চারা, ফল ও বিজ আমদানি হয়ে থাকে। কিন্তু এখানকার ল্যাব অচলে ভাইরাস যুক্ত কৃষিবীজ আমদানির ঝুঁকি বাড়ছে।

খাদ্যদ্রব বা ভাইরাস মুক্ত বীজ আমদানিতে ল্যাব চালু থাকা জরুরী।

বেনাপোল স্থলবন্দর উদ্ভীদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক মিজানুর রহমান জানান, তাদের আন্তর্জাতিক মানের ল্যাব রয়েছে। সেখানে ল্যারেটারি টেকনেশিয়ান পদে একজন জনবল ছিল। কিন্তু তাকে গত ৬ মাস আগে অন্যত্র বদলী করায় ল্যাব জনবল শুন্য হয়ে পড়েছে। এতে বর্তমানে কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এখন সন্দেহ ভাজন কিছু বিজ জাতীয় পণ্য এনালক পদ্ধতিতে পরীক্ষা করতে হচ্ছে। এতে মান নির্নয়ে বিলম্ব হচ্ছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৭:২৫:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
৫৪

বেনাপোল বন্দর উদ্ভীদ সংগনিরোধ ভবনে ল্যাবে জনবল শুণ্য, পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধে ঝুঁকিতে কৃষিখাত

আপডেট: ০৭:২৫:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: বেনাপোল বন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ ভবন ল্যাবে জনবল শুণ্যে গত ৬ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে খাদ্যদ্রব জাতীয় কৃষি পণ্য ও কৃষি পণ্য উৎপাদনকারি বীজের পণ্য মান নির্নয় কার্যক্রম। এতে আমদানিকৃত কৃষিজাত পণ্যে কোন ভাইরাস আছে কিনা তা পরিক্ষা করতে না পারায় দেশের কৃষিখাত ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। তবে সংশিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, জনবল নিয়োগে উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের অবগত করা হয়েছে।

বানিজ্যিক সংশিষ্টরা বলছেন, ভারত থেকে যেসব পণ্য আমদানি হয় এসব পণ্যের মধ্যে বড় একটি অংশ রয়েছে কৃষিজাত পণ্য বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব ও কৃষি বীজ। তবে এসব খাদ্য দ্রবের গুনগত মান ঠিক আছে কিনা বা বীজ ভাইরাস মুক্ত কিনা তা নির্নয়ের জন্য বেনাপোল বন্দর উদ্ভীদ সংগনিরোধ কেন্দ্রে একটি আন্তর্জাতিক মানের ল্যাব রয়েছে। সেখানে পরীক্ষাগারে একজন টেকনেশিয়ান মান পরীক্ষার কাজ করতেন।

তবে এ প্রকল্পটি শেষ হওয়ায় ঐ টেকনেশিয়ানকে অনত্র বদলি করে কর্তৃপক্ষ। এতে ল্যাব জনশুণ্য হয়ে পড়ায় গত ৬ মাস ধরে বেনাপোল উদ্ভীদ সংগনিরোধ কেন্দ্রে মান নির্নয় কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে নিম্ন মানের খাদ্যদ্রব বা ভাইরাস যুক্ত বীজ আমদানিতে মানুষের স্বাস্থ্য ও কৃষি ক্ষাত ঝুকির কবলে পড়েছে। বর্তমানে এক্ষাতে জনবল নিয়োগ জরুরী হলেও তেমন গুরুত্ব নেই কর্তৃপক্ষের।

বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৪০০ ট্রাক পণ্য আমদানি হয়ে থাকে। যার মধ্যে শতাধিক ট্রাক থাকে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব ও কৃষি বীজ। ভারত থেকে যে কৃষিপণ্য আমদানি করার পর বেনাপোল বন্দর উদ্ভীদ সংগনিরোধ অফিসের ল্যাব বন্ধ থাকায় পরীক্ষা করাতে পারছেন না। বাইরে থেকে পরীক্ষা করাতে সময় ক্ষেপন ও বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে। দ্রুত সেখানে জনবল নিয়োগ দিয়ে ল্যাব সচলের দাবি জানাচ্ছি।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস এস্যাসোসিয়েশনের বন্দর বিষয়ক সম্পাদক মেহেরুল্লাহ জানান, এপথে ভারত থেকে বিভিন্ন গাছের চারা, ফল ও বিজ আমদানি হয়ে থাকে। কিন্তু এখানকার ল্যাব অচলে ভাইরাস যুক্ত কৃষিবীজ আমদানির ঝুঁকি বাড়ছে।

খাদ্যদ্রব বা ভাইরাস মুক্ত বীজ আমদানিতে ল্যাব চালু থাকা জরুরী।

বেনাপোল স্থলবন্দর উদ্ভীদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক মিজানুর রহমান জানান, তাদের আন্তর্জাতিক মানের ল্যাব রয়েছে। সেখানে ল্যারেটারি টেকনেশিয়ান পদে একজন জনবল ছিল। কিন্তু তাকে গত ৬ মাস আগে অন্যত্র বদলী করায় ল্যাব জনবল শুন্য হয়ে পড়েছে। এতে বর্তমানে কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এখন সন্দেহ ভাজন কিছু বিজ জাতীয় পণ্য এনালক পদ্ধতিতে পরীক্ষা করতে হচ্ছে। এতে মান নির্নয়ে বিলম্ব হচ্ছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।