০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৭ মে ২০২৫

এপ্রিলে ৫৬৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৮৩, শীর্ষে মোটরসাইকেল

নিউজ ডেস্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত এপ্রিল মাসে সারা দেশের ৫৬৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৩ জন নিহত, ১২০২ জন আহতে হয়েছেন। অপরদিকে রেলপথে ৩৫টি দুর্ঘটনায় ৩৫ জন নিহত, পাঁচ জন আহত হয়েছেন এবং নৌ পথে আটটি দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত, একজন নিখোঁজ রয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৬১০টি দুর্ঘটনায় ৬২৮ জন নিহত এবং ১২০৭ জন আহত হয়েছে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণে এই তথ্য পেয়েছে।

মঙ্গলবার সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এক প্রতিবেদন তুলে ধরে সংগঠনটি। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

প্রতিবেদন বলা হয়, এপ্রিল মাসে সবচেয়ে বেশি ২১৫টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২২৯ জন নিহত ও ২২৪ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩৭.৯১ শতাংশ, নিহতের ৩৯.২৭ শতাংশ ও আহতের ১৮.৬৪ শতাংশ। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩৮ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩৬ জন নিহত ও ৩৭৭ জন আহত হয়েছে, সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে সিলেট বিভাগে ২৮ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত ও ৫১ জন আহত হয়েছে।

সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১০ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৩৫ জন চালক, ১১২ জন পথচারী, ৭২ জন পরিবহন শ্রমিক, ৭৫ জন শিক্ষার্থী, ১৫ জন শিক্ষক, ১০০ জন নারী, সাতজন শিশু, দুইজন সাংবাদিক, একজন চিকিৎসক, একজন মুক্তিযোদ্ধা, দুইজন প্রকৌশলী এবং আটজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছে- দুইজন পুলিশ সদস্য, একজন সেনাবাহিনী সদস্য, দুইজন আনসার সদস্য, একজন সাংবাদিক, একজন চিকিৎসক, একজন মুক্তিযোদ্ধা, দুইজন প্রকৌশলী, ১১৩ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ১০৭ জন পথচারী, ৬৭ জন নারী, ৫৫ জন শিশু, ৪৫ জন শিক্ষার্থী, ১৯ জন পরিবহন শ্রমিক, ১৩ জন শিক্ষক ও তিনজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৮৩৯ টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ৩০.৩৯ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১৭.৬৪ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৩.৭১ শতাংশ বাস, ১৬.৬৯ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৭.৭৪ শতাংশ সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ৭.২৭ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৬.৫৫ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৫০.৯৭ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৩.৮০ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৮.৫১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৫.৯৯ শতাংশ বিবিধ কারণে, চাকায় ওড়না পেচিয়ে ০.৩৫ শতাংশ এবং ০.৩৫ শতাংশ ট্রেন-যানবাহনের সংঘর্ষে ঘটে।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই মাসে সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৩১.৭৪ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২৯.১০ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৩৩.৬৮ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৪.৫ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১.৫ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০.৩৫ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংগঠিত হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ১১:০১:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

এপ্রিলে ৫৬৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৮৩, শীর্ষে মোটরসাইকেল

আপডেট: ১১:০১:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত এপ্রিল মাসে সারা দেশের ৫৬৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৩ জন নিহত, ১২০২ জন আহতে হয়েছেন। অপরদিকে রেলপথে ৩৫টি দুর্ঘটনায় ৩৫ জন নিহত, পাঁচ জন আহত হয়েছেন এবং নৌ পথে আটটি দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত, একজন নিখোঁজ রয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৬১০টি দুর্ঘটনায় ৬২৮ জন নিহত এবং ১২০৭ জন আহত হয়েছে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণে এই তথ্য পেয়েছে।

মঙ্গলবার সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এক প্রতিবেদন তুলে ধরে সংগঠনটি। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

প্রতিবেদন বলা হয়, এপ্রিল মাসে সবচেয়ে বেশি ২১৫টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২২৯ জন নিহত ও ২২৪ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩৭.৯১ শতাংশ, নিহতের ৩৯.২৭ শতাংশ ও আহতের ১৮.৬৪ শতাংশ। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩৮ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩৬ জন নিহত ও ৩৭৭ জন আহত হয়েছে, সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে সিলেট বিভাগে ২৮ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত ও ৫১ জন আহত হয়েছে।

সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১০ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৩৫ জন চালক, ১১২ জন পথচারী, ৭২ জন পরিবহন শ্রমিক, ৭৫ জন শিক্ষার্থী, ১৫ জন শিক্ষক, ১০০ জন নারী, সাতজন শিশু, দুইজন সাংবাদিক, একজন চিকিৎসক, একজন মুক্তিযোদ্ধা, দুইজন প্রকৌশলী এবং আটজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছে- দুইজন পুলিশ সদস্য, একজন সেনাবাহিনী সদস্য, দুইজন আনসার সদস্য, একজন সাংবাদিক, একজন চিকিৎসক, একজন মুক্তিযোদ্ধা, দুইজন প্রকৌশলী, ১১৩ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ১০৭ জন পথচারী, ৬৭ জন নারী, ৫৫ জন শিশু, ৪৫ জন শিক্ষার্থী, ১৯ জন পরিবহন শ্রমিক, ১৩ জন শিক্ষক ও তিনজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৮৩৯ টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ৩০.৩৯ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১৭.৬৪ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৩.৭১ শতাংশ বাস, ১৬.৬৯ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৭.৭৪ শতাংশ সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ৭.২৭ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৬.৫৫ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৫০.৯৭ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৩.৮০ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৮.৫১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৫.৯৯ শতাংশ বিবিধ কারণে, চাকায় ওড়না পেচিয়ে ০.৩৫ শতাংশ এবং ০.৩৫ শতাংশ ট্রেন-যানবাহনের সংঘর্ষে ঘটে।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই মাসে সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৩১.৭৪ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২৯.১০ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৩৩.৬৮ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৪.৫ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১.৫ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০.৩৫ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংগঠিত হয়েছে।