রাজনীতি | তারিখঃ অক্টোবর ২১, ২০২৩ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 7965 বার
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ডা. মামুন আহমেদ বলেছেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দেড় লক্ষাধিক মামলায় অর্ধ কোটি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। এগুলো করে সরকার বিএনপিকে ভয় দেখাতে চায়, গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে স্তিমিত করতে চায়। এসব গায়েবি মামলা দিয়ে চলমান আন্দোলনে স্তব্ধ করা যাবে না। বিএনপি ২৪ ঘণ্টার নোটিশেই লক্ষ লক্ষ জনতার সমাগম ঘটাতে পারে। কারণ, বিএনপি জনগণের আন্দোলন করে।
২১ অক্টোবর, শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জিয়া প্রজন্মদল আয়োজিত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব এবং কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমের মুক্তির দাবিতে এক গণ অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. মামুন বলেন, যতই মামলা-মোকদ্দমা দেওয়া হোক, গ্রেফতার করা হোক, নির্যাতন করা হোক না কেনো, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আন্দোলন কোনোভাবেই দমন করা যাবে না।
তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর আমরা আন্দোলনের চূড়ান্ত ধাপে যাচ্ছি। এ মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে গণ গ্রেফতার শুরু করেছে। সরকার চেষ্টা করছে ভয়ভীতি দেখিয়ে সমাবেশ বানচাল করার। কিন্তু বিএনপি বা সাধারণ মানুষ ভীত-সন্ত্রস্ত হয়নি বরং উল্টো ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে সরকার। ভীত-সন্ত্রস্ত হলেই মানুষ উল্টো পাল্টা কথা বলে। হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। একইভাবে ক্ষমতাসীনদের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারি দলের নেতাদের মধ্যে কোনো সম্মান, রুচি ও ভদ্রতা লক্ষ্য করা যায় না। মনে হয় রুচিহীন এবং মর্যাদাহীন একটি রাজনৈতিক দল। তারা সাধারণ জনগণকেও মনে করে রুচিহীন। তারা যেমন মর্যাদাহীন এবং ব্যক্তিত্বহীন, সাধারণ মানুষকেও তাই মনে করে। বিএনপি ও সমমনা জোটগুলোকেও একই স্তরে নামাতে চায়। সরকারের শত উসকানি উপেক্ষা করে গত ১ বছর যাবত বিএনপি জাতীয়, জেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে আসছে। আগামী কঠোর কর্মসূচিও আমরা শান্তিপূর্ণ করবো, তবে সেক্ষেত্রে যদি সরকার বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে তাহলে এর সকল দায়দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, রাজনৈতিক সংকটের কারণে অর্থনৈতিক সংকট আরো বাড়ছে। রাজনৈতিক সংকট দূরীভূত না হলে, এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন না হলে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হলে বাংলাদেশ যেভাবে নিষ্পেষিত হচ্ছে, তা অনন্তকাল হতে হবে। সামনে আমাদের সুযোগ এসেছে। ২৮ অক্টোবর থেকে আমাদের সেই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে, রাজপথে নামতে হবে সকল দেশপ্রেমিক নাগরিককে।
আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট পারভীন কাওসার মুন্নীর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মো. সারোয়ার হোসেন রুবেলের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য আসিফা আশরাফি পাপিয়া, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক সিকদার, ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।