নীলফামারীতে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বসন্তকে বরণ করে নেওয়া হয়
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নীলফামারীতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ বর্ণিল আয়োজন এর মাধ্যমে ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করে। তরুণ তরুণীরা বাসন্তী রঙের পাঞ্জাবি ও শাড়ি পরে বিভিন্ন রঙে রঙিন হয়ে অশান্তবরণ উৎসবে যোগদান করে।
ফাল্গুন নামটি এসেছে মূলত ফাল্গুনী নামে নক্ষত্র থেকে। খ্রিষ্টপূর্ব ১৫০০ সালের দিকে চন্দ্রবর্ষ ও সৌরবর্ষ উভয়ই মেনে চলা হতো। ফাল্গুন ছিল পূর্ণ চন্দ্রের মাস। ১৯৫০-১৯৬০ দশকেই আনুষ্ঠানিকভাবে পহেলা ফাল্গুন পালন শুরু হয়। সেসময় বাংলাদেশের জনগণ পাকিস্তানের সংস্কৃতি থেকে নিজেদের আলাদা করতে রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনার পাশাপাশি বাঙালি নিয়মে পহেলা ফাল্গুন পালন শুরু করে।
অন্যদিকে আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। দুই উৎসবকে ঘিরে জোড়া উৎসবের আমেজ। বসন্ত উৎসবটি বাঙালির সব বয়সির হলেও এতে তারুণ্যের প্রভাবই থাকে বেশি। এ দিনটিতে তরুণ-তরুণীরা বাসন্তী রঙের পোশাকে নিজেদের সজ্জিত করে। ফুল বিনিময় ও ব্যবহারের ধুম পড়ে যায়। তবে এ সময়ে এই ধরনের আয়োজন গ্রামাঞ্চলের পরিবর্তে শহরাঞ্চলেই বেশি পরিলক্ষিত হয়।
তাই, ফাল্গুনের প্রথম দিনে ভালোবাসার উচ্ছল আনন্দ চারদিকেই রঙ ছড়াবে আজ। তারুণ্য মেতে উঠবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, শাহবাগ, রমনা বটমূল, ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বোটানিক্যাল গার্ডেন থেকে পুরো রাজধানীতে ।
১৯৫২ সালে ফাল্গুন মাসেরই ৮ তারিখে (২১ ফেব্রুয়ারি) আমাদের দেশের বীর সন্তানরা বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে রাজপথে প্রাণ বিসর্জন দেন। তাই ৮ ফাল্গুন আমাদের জন্য শোকের দিন, সেদিক থেকে ফাল্গুন আমাদের জন্য বেদনার মাসও বটে।
বসন্ত উৎসবের দিনটিকে উপভোগ্য করে তুলতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন গ্রহণ করেছে নানা কর্মসূচি।