শার্শায় আনুষ্ঠানিকভাবে আম সংগ্রহ শুরু, বেচাকেনা শুরু হয়েছে বাগুড়ী বেলতলা হাটে
নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরের শার্শা উপজেলায় চাষী পর্যায়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আম সংগ্রহ ও বেচাকেনা শুরু হয়েছে।
বুধবার (৭ মে) শার্শা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে বড় আমের বাজার বাগুড়ী বেলতলা ও চাষীর আম বাগান পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজীব হাসান।
শার্শা উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় চাষী, আড়তদার ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার মাধ্যমে মঙ্গলবার (৬ মে) থেকে এ বাজারে গোপালভোগ, ক্ষীরশাপাতি, গোলাপ খাস, বৈশাখীসহ অন্যান্য স্থানীয় জাত ও গোবিন্দভোগ আম’ গাছ থেকে সংগ্রহ করে বিক্রয়ের নির্দেশনা দেওয়া হয়। একইসাথে ২১ মে থেকে হিমসাগর, ২৮ মে থেকে ল্যাংড়া এবং ৬ জুন থেকে আম্রপালি ও মল্লিকা সংগ্রহ পূর্বক বেচাকেনার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার থেকেই বাগুড়ী বেলতলা বাজারে শুরু হয়েছে আম কেনা-বেচা। চাষীরা তাদের বাগাান থেকে আম সংগ্রহ করে বিক্রি করছেন বাগুড়ী বেলতলা বাজারে। এবার এখানকার শতাধিক আড়ৎদার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পাইকারদের কাছে আম বিক্রি করছেন। তবে, সরকারি নির্দেশনার বাহিরে বেশি লাভের জন্য চাষীদের অপরিপক্ক হিমসাগর ও ল্যাংড়া আম বাজারে দেখা যাচ্ছে। এ আমগুলো কেমিক্যাল ব্যবহার করে পাকানো হচ্ছে বিধায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে সাধারণ ক্রেতা, এমনটি আশঙ্কা করেছেন স্থানীয়রা।
এবার বাগুড়ী বেলতলা বাজারের শতাধিক আড়ৎদার দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পাইকারদের কাছে আম বিক্রি করবেন। এখানে এবছরে আমের ফলন খুবই ভালো হওয়ায় জমে উঠেছে বাজার। প্রতিদিন এখানে হাজার হাজার মণ ফল বেচাকেনা হবে।
বাগুড়ী বেলতলা বাজারের আড়তদার আক্তারুল কবির জুয়েল জানিয়েছেন, এবার আমের ভালো ফলন হয়েছে। কোনো দূর্যোগ না হলে চাষিরা লাভবান হবে। এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার মণ ফল বেচাকেনা হয়।
বাগুড়ী বেলতলা বাজারের সভাপতি মাহামুদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান মুন্না জানান, এবার শুরুতেই পর্যাপ্ত আম বাজারে এসেছে। পর্যায়ক্রমে আরও ফল বাজারজাত হবে। এ বাজারে পরিবহণ ব্যবস্থা সহজ ও সুলভ হওয়ায় ব্যবসায়ীরা বাড়তি সুবিধা পায়।
শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা জানান, কোনও অসাধু ব্যবসায়ী বা আড়ৎদার আমে কেমিক্যাল ব্যবহার করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে. এম রবিউল ইসলাম জানান, বাজারে চাঁদাবাজদের কোনো স্থান নেই। এখানে চাঁদাবাজির কোনও অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী নাজিব হাসান জানান, গত ৪ মে এ উপজেলার আম চাষী, আড়ৎদার ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করা হয়েছে। সেখানে আম সংগ্রহ ও বেচাকেনার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে মোতাবেক বাগুড়ী বেলতলা বাজারে এ মৌসুমের আম বাজারজাত ও কেনাবেচা শুরু হয়েছে। কোনো প্রকার অপরিপক্ক আম সংগ্রহ এবং তাতে কেমিক্যাল ব্যবহার করলে অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।