কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজার শহরের ১নং ওয়ার্ডস্থ সাগরের নাজিরারটেক পয়েন্টে ভেসে আসা একটি ট্রলার থেকে ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রবিবার দুপুর থেকে মরদেহগুলো উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস টিম ও পুলিশ সদস্যরা।

এ পর্যন্ত ১১টি লাশ উদ্ধার হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানিয়েছেন। তবে কারো পরিচয় মেলেনি।

সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকতার কামাল। তিনি জানান, স্থানীয় ছেলেরা বঙ্গোপসাগরে গভীর এলাকায় ওই ফিশিং বোটটি দেখতে পায়। পরে তারা শনিবার ঈদের দিন রাতে ফিশিং বোটটি টেনে নাজিরাটেক পয়েন্টে নিয়ে আসে। সেখানে এনে বোটের ভিতর তারা অর্ধগলিত বেশ কয়েকটি মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, জেলেদের কাছ থেকে খবর পেয়ে শনিবার রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে বোটটি দেখেন এবং সেখানে কয়েকটি দেহ শনাক্ত করেন। পরে রবিবার সকালের দিকে ফায়ার সার্ভিসের দলকে সাথে নিয়ে এসব মরদেহ উদ্ধারে করে নিয়ে যায় পুলিশ। সকাল থেকে চেষ্টা করে মরদেহ ফিসিং বোটটি কুলের কাছে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। জোয়ারের ঢেউ থাকার কারণে দুপুর পর্যন্ত মরদেহগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

গত ১৫-১৬ দিন আগে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া পয়েন্টে ডাকাতি করতে গিয়ে একদল জলদস্যু জেলেদের হামলার শিকার হয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল। হামলায় জলদস্যরা মারা পড়েছিল বলে খবর বেরিয়েছিল। কিন্তু এতদিন পর্যন্ত ওই দস্যুবাহিনীর বোটটি হাদিস পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, নাজিরার টেক পয়েন্টে ভেসে আসা বোটটি ওই বোটটি হতে পারে। নিখোঁজদের স্বজনরা সকাল থেকে নাজিরটেক এসে ভিড় করছে। ওই ফিশিং বোটের ভেতর ১৪টি পর্যন্ত মরদেহ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওসি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ওই ফিশিং বোটের কলেজ স্টোর এর ভেতরে মরদেহগুলো রয়েছে। এগুলো বেশ গলিত হয়ে গেছে। তীব্র দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। জোয়ার কমলে মরদেহগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হবে। তবে এখন পর্যন্ত মরদেহগুলো কোথা থেকে, কীভাবে এসেছে তা জানা যায়নি।