সারাবিশ্ব | তারিখঃ অক্টোবর ১০, ২০২২ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 4474 বার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সোমবার সকাল থেকেই ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর আসতে শুরু করে। গত কয়েক মাস রাজধানী কিয়েভে হামলা থেকে বিরত থাকলেও এদিন সেখানেও সিরিজ হামলা চালায় রুশ বাহিনী। আক্রান্ত হয় লভিভ, টারনোপিল, ডিনিপ্রোসহ ইউক্রেনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এই সিরিজ হামলার ঘটনায় সামনে উঠে এসেছে জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিন নামের একজন রুশ কমান্ডারের নাম।
ইউক্রেনে মস্কোর একের পর এক সামরিক ব্যর্থতার পর সম্প্রতি রুশ বাহিনীর নেতৃত্বে রদবদল করেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শনিবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের নেতৃত্ব দেবেন বিমান বাহিনীর জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিন। ক্রিমিয়া সেতুতে রহস্যময় বিস্ফোরণের মধ্যেই নতুন কমান্ডার হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হয়। এর দুই দিনের মাথায় সোমবার সকাল থেকেই একের পর এক ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর আসতে শুরু করে।
অব্যাহত হামলার খবরে ক্ষুব্ধ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভালোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ সকালে ইউক্রেনজুড়ে হামলা দেখিয়ে দিয়েছে যে, রাশিয়া আমাদের দুনিয়া থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে।’ জেলেনস্কির দফতরের উপপ্রধান কিরিলো টাইমোশেঙ্কো বলেছেন, ‘ইউক্রেন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার। দেশের অনেকগুলো শহরে হামলার তথ্য রয়েছে।’
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ার দখলকৃত কিছু অঞ্চল ইউক্রেনের পুনরুদ্ধারের ঘটনায় দুই সিনিয়র কমান্ডারকে বরখাস্তের পর ইউক্রেন অভিযানের দায়িত্ব পড়ে জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিনের ওপর।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা নীতি বিষয়ক থিঙ্ক ট্যাংক জেমসটাউন ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুরোভিকিন রাশিয়ার সামরিক বাহিনীতে একেবারে ‘নির্মম’ হিসেবে পরিচিত।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, ৫৫ বছর বয়সী সুরোভিকিন ২০১৭ সাল থেকে রাশিয়ার বিমান ও মহাকাশ বাহিনীর নেতৃত্বে রয়েছেন। ২০০৪ সালে তিনি চেচনিয়ায় একটি গার্ড ডিভিশনের কমান্ডার হিসেবে কাজ করেছেন। ওই সময় অঞ্চলটিতে ইসলামপন্থি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত ছিল মস্কো। সিরিয়ার যুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৭ সালে একটি পদক পেয়েছিলেন তিনি।
বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে, নব্বইয়ের দশকে তাজিকিস্তান, চেচনিয়াসহ বেশ কয়েকটি বড় যুদ্ধের অভিজ্ঞতা রয়েছে সের্গেই সুরোভিকিনের। ২০১৫ সালে পুতিনের অন্যতম মিত্র সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সমর্থনে সিরিয়ার মাটিতে কাজ করেছেন তিনি।