সারাবিশ্ব ডেস্ক : যুদ্ধের দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও রাশিয়া ইউক্রেন ভয়াবহতার কোনোই সমাপ্তি ঘটেনি। সম্প্রতি ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ খারকিভের ইজিয়াম শহর থেকে রুশ সেনারা চলে যাওয়ার পর সেখানকার একটি বনে গণকবরের সন্ধান মিলেছে। সেখানে একের পর এক ৪৪০টি মরদেহ মিলেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দেশটির আঞ্চলিক পুলিশের এক মুখপাত্রও গণকবর পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেন।

সম্প্রতি কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে ইজিউম শহর পুনর্দখল করেছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। বুধবার ইজিয়াম শহর পরিদর্শন করেন খারকিভ অঞ্চলের প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তা সেরহি বলভিনভ। সেরহি বলেন, উদ্ধার হওয়া প্রতিটি মরদেহের ফরেনসিক পরীক্ষা হবে। এটি এখন পর্যন্ত পাওয়া অন্যতম বড় গণকবর। যাচাই-বাছাই করে দেখা গেছে, কিছু মানুষ আর্টিলারির গোলায় আর কিছু বিমান হামলার কারণে মারা গেছেন।

এই গনকবরের সন্ধানের পর এর জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, রুশ বাহিনী ইউক্রেন হামলার প্রাথমিক পর্যায়ে রাজধানী কিয়েভের উপকণ্ঠে বুচা শহরে যেভাবে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল, একইভাবে ইজিয়াম শহরেও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। তিনি বলেন, এখানে আসলেই কী ঘটছে এবং রাশিয়ান দখলদারিত্ব কীসের দিকে পরিচালিত হচ্ছে আমরা বিশ্বকে সেটাই জানাতে চাই। ইউক্রেন সরকার ও তাদের পশ্চিমা মিত্ররা রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে বুচায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগও এনেছে। বৃহস্পতিবার রাতে দেওয়া ভিডিও ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া সর্বত্র মরদেহ রেখে যাচ্ছে, তাদের অবশ্যই জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।