আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভাঙা চাল বা খুদ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত। ভাঙা চাল বা খুদের পাশাপাশি বাসমতি ছাড়া অন্য চাল রপ্তানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে দেশটি।

শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের খবরে এ তথ্য জানা গেছে। ভারতের অভ্যন্তরে গত বছরের তুলনায় চলতি বছর চাল উৎপাদন কম হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকার এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। একারণে দেশটিতে চালের দামের পাশাপাশি অন্যান্য শস্যের দাম বৃদ্ধির শঙ্কা রয়েছে।

ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে চলতি খরিফ মৌসুমে (চৈত্র থেকে ভাদ্র মাস) বৃষ্টি স্বল্পতার কারণে ধানের আবাদ ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ কমে প্রায় ৩৮৪ লাখ হেক্টরে নেমে এসেছে।

বিশ্বের দ্বিতীয় চাল উৎপাদনকারী দেশ ভারত। বিশ্বে ৪০ শতাংশ চাল সরবরাহ করে ভারত।

২০২১-২২ আর্থিক বছরে ২১ দশমিক ২ মিলিয়ন টন চাল রপ্তানি করেছে ভারত। এর মধ্যে তিন দশমিক ৯৪ মিলিয়ন টন বাসমতি চাল রয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, ভারত সরকারের নতুন এ নিষেধাজ্ঞার কারণে আমদানিকারকরা চাল আমদানিতে নিরুৎসাহিত হবে। এর ফলে তারা ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামে চাল আমদানির চেষ্টা করবে। কিন্তু দেশ দুটির পক্ষে নতুনভাবে জাহাজের সংখ্যা বৃদ্ধি করা কঠিন হয়ে যাবে।

বিশ্বে চীন সবচেয়ে বেশি ভাঙা চাল বা খুদ আমদানিকারক দেশ। গত বছর এক দশমিক এক মিলিয়ন টন ভাঙা চাল বা খুদ ক্রয় করে চীন। একই সময় আফ্রিকার বহু দেশ যেমন সেনেগাল মানুষের খাবারের জন্য ভাঙা চাল বা খুদ ক্রয় করে।