আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রয়াণে ব্রিটেনসহ পুরো বিশ্বে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রানি তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য বিশ্বে প্রশংসিত ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর তার নেতৃত্বে ব্রিটেনের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছিল।

রানির মৃত্যুতে বিশ্বের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ শোক প্রকাশ করেছেন।

নিচে কয়েকজনের প্রতিক্রিয়া দেওয়া হল-

মাত্র দুইদিন আগে রানির কাছ থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করেন নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। কিন্তু একদিন পরেই রানির মৃত্যুতে গভীরভাবে মর্মাহত বলে জানান তিনি।

এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, রানির মৃত্যু ব্রিটিশ জাতি এবং বিশ্বের জন্য একটি বিরাট শোকের ঘটনা। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ হলেন সেই ভিত্তি যার ওপর আধুনিক ব্রিটেন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তার রাজত্বে আমাদের দেশের অর্থনীতি বিকাশ হয়েছে। বর্তমানে রানির কারণে ব্রিটেন একটি মহান দেশ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক শোকবার্তায় বলেন, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে বিশেষ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরিতে সহায়তা করেছেন।

আর রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে নিজ দেশের বন্ধু হিসেবে অভিহিত করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখো।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশে বিউপনিবেশয়ান ও কমনওয়েলথের বিকাশে রানির অবদান স্মরণ করেন। তিনি রানিকে জাতিসংঘের ভালো বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করেন।

তার মতে, রানির বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে পৃষ্ঠপোষকতা এবং তার নেতৃত্ব বিশ্ব আগামীতেও স্মরণ করবে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শোক বার্তায় রানির নেতৃত্বের প্রশংসার পাশাপাশি তার মৃত্যুতে গভীর ব্যথিত বলে উল্লেখ করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা রানির সঙ্গে আলাপের সুযোগ পেয়ে নিজেকে ও তার স্ত্রী মিশেল ওবামাকে ভাগ্যবান বলে উল্লেখ করেন।

এছাড়া, কানাডা, ইউক্রেন, জর্ডান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কমনওয়েলথের মহাসচিব, পোপ ফ্রান্সিস, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানির চ্যান্সেলরসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দ শোক জানিয়েছেন।