আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিয়ারে অ্যালকোহলের মাত্রা অনেকটাই কম থাকে। এই কারণে নানান অনুষ্ঠানেই এই পানীয় খাওয়ার চল রয়েছে। কিন্তু বিয়ার খাওয়া কী আদৌ শরীরের পক্ষে ভালো ? কী হয় বিয়ার খেলে ?

সম্প্রতি পর্তুগালের একটি গবেষণায় দাবী করা হয়েছে যে বিয়ার পান করা অন্ত্রের জন্য বেশ উপযোগী। বিয়ারের দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে ওই গবেষণার মাধ্যমে।

এই গবেষণাটি করা হয়েছে দ্য সেন্টার ফর রিসার্চ ইন হেলথ টেকনোলজিস অ্যান্ড সার্ভিসেস নামক সংস্থার তরফে। তারা বলছে, “বিয়ার অন্ত্রের মাইক্রোবায়োটা গঠনে সাহায্য করে। এই মাইক্রোবায়োটা স্থূলতা, ডায়াবিটিস এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের মতো খুব সাধারণ দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়”।

এই গবেষণায় এও বলা হয়েছে যে নিয়মিত যদি বিয়ার খাওয়া যায় তাহলে অন্ত্রে জমে থাকা খারাপ ব্যাকটেরিয়া শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। বিয়ার শরীরে এক ধরণের উৎসেচক তৈরি করে, যা অন্ত্রের জন্য ভালো।

এই গবেষণায় আরও বলা হয়েছে যে বিয়ারের এই স্বাস্থ্যগুণের সঙ্গে অ্যালকোহলের কোনও সম্পর্ক নেই। গবেষণা অনুযায়ী, অ্যালকোহলযুক্ত বা অ্যালকোহলবিহীন, যে বিয়ারই পান করা হোক না কেন, তাতে থাকা বিশেষ যৌগ অন্ত্রে এক বিশেষ ধরনের মাইক্রোবস তৈরি করে, যা ডায়াবিটিস এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের মতো দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।

তবে এই গবেষণায় এও বলা হয়েছে যে বিয়ার খেলে রক্তে শর্করা বা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে কী না, এমন কোনও তথ্য কিন্তু মেলেনি।

দেখে নেওয়া যাক বিয়ারের আরও কিছু গুণাবলীঃ
বিয়ারে ফাইবারের মাত্রা বেশি থাকে। সেই কারণে এই পানীয় পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। বিয়ারে প্রচুর পরিমাণ ল্যাক্টোফ্লোভিন আর নিকোটিনিন অ্যাসিড থাকে। এই দুই অ্যাসিডের প্রভাবে অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়। বিয়ার কিডনিতে পাথর জমার আশঙ্কা কমিয়ে দেয়। বিয়ারে নানা ধরনের খনিজ পুষ্টির উপাদান থাকে যেমন ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ক্রোমিয়াম, ভিটামিন বি। এই সব খনিজ বিয়ারের মাধ্যমে শরীরে যায়। তবে চিকিৎসকদের মতে, অতিরিক্ত মাত্রায় বিয়ার পান করা কিন্তু স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকরই হবে।