সারাবিশ্ব | তারিখঃ আগস্ট ১৫, ২০২২ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 1097 বার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ে স্বামীর অত্যাচার সইতে না পেরে দুই সন্তানকে নিয়ে পানাগড়ে গৃহবধূ রেল লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
সুত্র জানায়, সীমার উপর তাঁর স্বামী উমাশঙ্কর শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার চালাত। স্ত্রী এবং দুই শিশু পুত্রকে উমাশঙ্কর মারধর করত। মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি এসে স্ত্রীর উপর অত্যাচার করত। এমনকী প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিত। রবিবার সেই অত্যাচার চরমে ওঠায় দুই সন্তানকে নিয়ে আত্মঘাতী হলেন মা। শিহরণ জাগানো এই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড় এলাকায়। পানাগরের অনুরাগপুর এলাকায় এখন এটাই চর্চিত বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।
সাংসারিক অশান্তির জেরে দুই সন্তানকে নিয়ে গৃহবধু সীমা চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন বলে জানা গিয়েছে। স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন ওই মহিলা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই পারিবারিক অশান্তি চলছিল। তাতে অবসাদে ভুগছিলেন এই মহিলা। তাঁর স্বামী প্রায় প্রত্যেকদিনই মদ্যপ অবস্থায় এসে ঘরে ঢুকে অশান্তি করতেন। যার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আজ, সোমবার স্বাধীনতা দিবসের দিন পানাগড়ের রেললাইন থেকে উদ্ধার হয় দুই শিশু–সহ ওই গৃহবধুর লাশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃত গৃহবধূর নাম সীমা পণ্ডিত (২৭)। তাঁর দুই ছেলের নাম প্রাণিত পণ্ডিত (৬) এবং প্রেম পণ্ডিত (৮)। সীমার স্বামী উমাশঙ্কর পণ্ডিতের অত্যাচার দিন দিন বেড়েই চলছিল। আর সেটাই সহ্য করতে পারেননি এই গৃহবধূ। তাই নিজের দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন সীমা। তাঁরা অনুরাগপুরের বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে, সীমার উপর তাঁর স্বামী উমাশঙ্কর শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার চালাত। স্ত্রী এবং দুই শিশু পুত্রকে উমাশঙ্কর মারধর করত। মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি এসে স্ত্রীর উপর অত্যাচার করত। এমনকী প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিত। রবিবার সেই অত্যাচার চরমে ওঠে। আর সোমবার সকালে দুই শিশু পুত্রকে নিয়ে রেললাইনে ঝাঁপ দেন সীমা। ঘটনার পর থেকে খোঁজ মিলছে না উমাশঙ্করের। কাঁকসা থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।