আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আহত ব্রিটিশ বিতর্কিত ঔপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক সালমান রুশদির ওপর হামলার ঘটনায় স্তম্ভিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। গতকাল শুক্রবার (১২ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের শাটোকোয়া ইনস্টিটিউশনে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় হামলার শিকার হন রুশদি। এতে গুরুতর আহত লেখককে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।

বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। অতর্কিত এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে গতকাল শুক্রবার রাত ও শনিবার সকালে বেশ কিছু পোস্ট করেন তসলিমা। প্রথম ‍টুইটে তসলিমা লেখেন, ‘এইমাত্র জানলাম, নিউ ইয়র্কে হামলার শিকার হয়েছেন সালমান রুশদি। আমি সত্যিই স্তম্ভিত। এমনটা হবে, তা কখনোই ভাবিনি। ‘তিনি পশ্চিমে বসবাস করে আসছিলেন এবং ১৯৮৯ সাল থেকেই তিনি সুরক্ষায় আছেন। যদি তার ওপর হামলা হয়, তাহলে ইসলামের সমালোচনা করা যে কেউ হামলার শিকার হতে পারেন। আমি উদ্বিগ্ন।’

এর আগে গতকাল শুক্রবার (১২ আগস্ট) সাহিত্য বিষয়ক এক অনুষ্ঠানের মঞ্চে হামলার শিকার হন তিনি। সালমান রুশদীকে যখন শিটোকোয়া ইনস্টিটিউশনে একটি বক্তৃতার জন্য পরিচয় করিয়ে দেয়া হচ্ছিল, তখন একজন লোক মঞ্চ উঠে এই হামলা চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, তারা এক ব্যক্তিকে দৌড়ে মঞ্চের দিকে যেতে দেখেন, এবং সালমান রুশদীকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার সময় তিনি তাকে হয় ঘুষি মারেন এবং ছুরিকাঘাত করেন।তার ওপর এ হামলার কারণ নিয়ে আরেক টুইটে তসলিমা লেখেন, ‘লোকজন বলছে, মন্তব্য করার আগে চলুন জেনে নিই কেন হামলা হয়েছে রুশদির ওপর। যেহেতু তিনি ইসলামপন্থিদের লক্ষ্যবস্তু ছিলেন, সেহেতু তাকে কোনো ইসলামপন্থি যে হত্যাচেষ্টা করতে পারে, সেটি কল্পনা করা কি খুব কঠিন?’

ইতিমধ্যে সালমান রুশদির ওপর হামলার ঘটনায় হাদি মাতার নামের একজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।এ নিয়ে করা টুইটে তসলিমা লেখেন, ‘২৪ বছর বয়সী ইরানীয়-আমেরিকান হাদি মাতার রুশদির ওপর হামলা করেছেন। হাদি মাতারের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আয়াতুল্লাহ খোমেনির ছবি ছিল, যিনি ১৯৮৯ সালে রুশদির বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করেছিলেন…এখন হামলার উদ্দেশ্য নিয়ে ধারণা করতে পারেন।’