গ্রামের সংবাদ পত্রিকা হাঁটি হাঁটি পা পা করে আত্মপ্রকাশের সতেরো বছর পেরিয়ে ১৮ বছরে পা রাখলো। সতেরো বছর চালিয়ে ১৮ বছরে পা রাখা মনে হয় সহজ পথ চলা ছিলো না।
১৭ বছর পূর্তিতে দুর্গম যাত্রাপথে প্রথমেই সবিনয়ে বিনম্র চিত্তে আমাদের সম্মানীত পাঠক, লেখক, বিজ্ঞাপনদাতা, সুহৃদ শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ী, এবং গ্রামের সংবাদ-এর সম্মানীত উপদেষ্টাবৃন্দ, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্যবৃন্দ, সংবাদদাতা, বিভিন্ন সহযোগি গণ মাধ্যম, এবং গ্রামের সংবাদ পরিচালনা পরিষদের প্রিয় টিম যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে গ্রামের সংবাদকে অত্যন্ত গতানুগতিক মানসম্পন্ন প্রিন্ট মিডিয়াসহ অনলাইন সংস্করণে ডিজিটাল করে তুলেছেন তাঁদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা, কৃতজ্ঞতা, অভিনন্দন, অভিবাদন এবং অফুরন্ত ধন্যবাদ।

আমি জানি যেকোন ভালো কাজই হোকনা কেন আলোচনা-সমালোচনা থাকবেই। একটি পত্রিকা জন্ম দেওয়া সহজ ঠিক সন্তানের মতো কিন্তু ধারাবাহিকভাবে খাদ্য-উপাথ্য দিয়ে বড় করে তোলা কিংবা ধারাবাহিভাবে চালাতে গেলে অর্থের প্রয়োজন হয়। গ্রামের সংবাদও তার ব্যতিক্রম নয়। প্রতি বছর অনেক টাকা খরচ করতে হয়, কিন্তু আয়ের তুলনায় ব্যয়ের পরিমান কয়েকগুন বেশী। গ্রামের সংবাদ-এর প্রকাশনা সত্যিকথা বলতে কি সাংবাদিকতার নেশা থেকেই প্রকাশ। এটা কোন লাভজনক প্রতিষ্ঠান নয় বরং আর্থিক ক্ষতি জেনেও চালিয়ে যেতে হয় অভ্যাস হিসেবে।
এই পত্রিকা চালাতে গিয়ে কয়েকজন মানুষের কাছে আমি ঋণি, যাঁদের সহযোগিতা আমাকে এই কষ্টের মধ্যেও এগিয়ে যেতে প্রেরণা দিয়েছেন। যাঁরা বাণী দিয়ে, লেখা দিয়ে বর্ষপূর্তি সংখ্যাকে সমৃদ্ধ করেছেন তাঁদেরকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

গর্ব কিংবা অহংকার নেই এ অর্জনে। এ প্রয়াস চালিয়ে যাওয়া ভীষণ কষ্টদায়ক, তারপরেও আমরা শেষ চেষ্টা চালিয়ে এগিয়ে যাবো এ প্রত্যয় রয়েছে। সবার ভালোবাসা আর সহযোগিতাই আমাদের পথ চলা।

সম্পাদকীয়তে কোন কারনে কেউ দুঃখ পেলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এ প্রত্যাশা। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং সত্য ও সুন্দরের প্রতি আমরা সবাই অবিচল থাকবো এ প্রত্যাশা।