দীনবন্ধু মজুমদার : বিশিষ্ট সমাজসেবক, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, বাংলাদেশের একজন উজ্জল নক্ষত্র জনাব কাজী সালিমুল হক কামাল যিনি মাগুরা জেলা এবং শালিখা ও মুহাম্মদপুর থানার গর্ব।

আপনারা যারা কাজী সালিমুল হক কামাল সাহেবের পরিচয় ভালোভাবে জানেন না তাদের উদ্দেশ্যে এই লেখা ।

জনাব কাজী সালিমুল হক ১৮ই আগস্ট ১৯৫১ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস মাগুরা জেলার শালিখা থানার গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের বামন খালী গ্রামে । তার পিতা জনাব মোঃ কাজী আকরামুল হক।।।

মরহুম আকরামুল হক সাহেব ছিলেন পাকিস্তান আমলের একজন বিশিষ্ট সচিব। সালিমুল হক সাহেবের আমেরিকান প্রবাসী আরও দুই বোন আছেন। তিনি ঢাকার ধনাঢ্য সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের নারিন্দার পীর সাহেবের জামাতা।

“””কর্মজীবন”””

জনাব কাজী সালিমুল হক কামাল সাহেব এদেশের একজন বিশিষ্ট শিল্পপতি,ভিআইপি ও সিআইপি।

* তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে এমবিএ ডিগ্রী অর্জন করেন।আলহাজ্ব কাজী সালিমুল হক বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সমিতির সম্মানিত সদস্য। শিল্প খাতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনি তাকে পুরষ্কৃত করেন তিনি জীবনে অসংখ্য পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন।জনাব কামাল সাহেবের এদেশে রয়েছে ছোট বড় বেশ কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান যেখানে কর্মরত রয়েছে কয়েক হাজার কর্মকর্তা কর্মচারী যারফলে এদেশের মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে তাঁর রয়েছে অগ্রণী ভূমিকা। তিনি ইকোনো গ্রুপ ও জিকিউ গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং ঢাকা রেনাল্ড সেন্টার এন্ড জেনারেল হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা।তিনি প্রাইম ব্যাংক,প্রাইম চক্ষু হাসপাতালের একজন গুরুত্বপূর্ণ পরিচালক। প্রাইম চক্ষু হাসপাতালের মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষকে বিনামূল্যে চক্ষু সেবা প্রদানের মাধ্যমে দেশ ও জনগণের সেবায় নিজেকে অনুন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন।তিনি কাজী আকরামুল হক ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট এর প্রতিষ্ঠাতা। যুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাজ্য, জার্মানি,সুইজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর,থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভারতসহ ব্যাপক বিদেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।

জনাব কাজী সালিমুল হক কামাল সাহেবের এক পুত্র ও দুই কন্যা রয়েছেন যারা বিভিন্ন ব্যবসায়িক ও সামাজিক কাজে নিয়োজিত রয়েছেন এবং জনকল্যাণমুখী কাজের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে দেশের আপামর জনসাধারণের মুখে হাসি ফোটানোর অব্যাহত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

“”রাজনৈতিক জীবন””

জনাব কাজী সালিমুল হক কামাল তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। প্রথমবার নির্বাচিত হন ১৯৯৪ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচনে। দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হন ১৯৯৬ সালের ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদে। সর্বশেষ ২০০০ সালের ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। প্রতিটি নির্বাচনে তিনি লড়াই করেন মাগুরা ২ আসনের শালিখা ও মুহাম্মদপুর উপজেলায়।

* তিনি এমপি থাকা কালীন মাগুরা বাসিকে উপহার দিয়েছেন অসংখ্যক স্কুল, কলেজ,মাদ্রাসা যা মাগুরা জেলার শিক্ষাখাতকে নিয়ে গিয়েছে সফলতার অনন্য চূড়ায়। তৎকালীন সময়ে মাগুরার রাস্তা ঘাটের উন্নয়নের জন্য কামাল সাহেবের বিশেষ অবদান মানুষের মুখে মুখে এখনো ছড়িয়ে আছে,তিনিই প্রথম গ্রামগঞ্জের কাঁচা রাস্তা গুলো পাঁকা রাস্তায় রুপান্তরিত করেছিলেন, এছাড়াও ব্রীজ কালভার্ট তৈরিতে ছিলো তার অগ্রণী ভূমিকা, কৃষি উন্নয়নে তার নির্বাচনী এলাকায় তিনি ছিলেন একজন মডেল,এছাড়াও তার নির্বাচনী এলাকায় বিদ্যুৎ খাতে ছিলো তার বিশেষ অবদান, এ সকল অবদানের জন্য তিনি ছিলেন মাগুরা ২ আসনের জনগণের আইডল,
যার কারনে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপারসন দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। বেগম খালেদা জিয়া কামাল সাহেবকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য করেন।জিয়া পরিবারের সাথে ছিলো তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ফলশ্রুতিতে বেগম জিয়া এবং আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক জনাব তারেক রহমানের মত তিনিও সরকারের ষড়যন্ত্রের রোষানলে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সাজা খাটছেন।

* এই ষড়যন্ত্রের কিছু সংক্ষিপ্ত ইতিহাস আছে যা কামাল সাহেব, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও জনাব তারেক রহমান অবগত আছেন, সময় হলে মীরজাফরদের মুখোশ উন্মোচন করবেন।

* আবারও তার উন্নয়নের কিছু কথায় ফিরে আসলাম যখন ২০০৪ সালে বন্যায় সারা বাংলাদেশের বেহাল অবস্থা, শালিখা ও মোহাম্মদপুর পানিতে তলিয়ে যায় ঠিক সেই মুহূর্তে তিনি তার নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিটা অসহায় দরিদ্র মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন ত্রাণ ও খাদ্য সামগ্রী। বন্যা পরবর্তী কালীন গৃহহীনদের গৃহের ব্যবস্থা করেছেন, কৃষকদের সার, বীজ ও কীটনাশকের ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়াও হৃদয়ে স্থান পাওয়ার মত অসংখ্যক কাজ করেছেন শালিখা ও মোহাম্মদপুরের বুকে
যার ফল স্বরুপ শালিখা ও মোহাম্মদপুরের মানুষ তাকে নয়নের মণি করে রেখেছেন। সাধারন মানুষের মুখে মুখে তার নাম, চাতক পাখির মতো, অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছেন মাগুরার বুকে আবার ফিরে আসবে তাদের প্রিয় কাজী কামাল, আপামর জনসাধারণের ভালোবাসায় সিক্ত হবে প্রিয় কামাল ভাই । তিনি ছিলেন যুব সমাজের আইডল হাজারো নেতা গড়ার কারিগর অসংখ্য নেতা কর্মী রেখেগেছেন শালিখা, মোহাম্মদপুরের বুকে।

* কিন্তু কিছু কিছু অকৃতজ্ঞ নেতা যারা আজও তাকে ভুলে আছেন। কিন্তু তাকে ভুলতে পারেনি তারই আরেক ভাই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কাজী ইমদাদুল হক সোনা।

* সাধারন মানুষ যখন কাজী কামাল সাহেবের শূন্যতা অনুভব করছিলেন তখন এই শূন্যতা পূরণ করার জন্য এগিয়ে আসেন কাজী ইমদাদুল হক সোনা। কামাল সাহেবের ধারাবাহিকতায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়ান কাজী ইমদাদুল হক সোনা ভাই। কাজী ইমদাদুল হক সোনা ভাই ছিলেন মাগুরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এবং শালিখা থানা বিএনপির সাবেক সফল সভাপতি। দলের দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করা, হামলা মামলার শিকার নেতাকর্মীদের পাশে থাকা, এছাড়াও সাধারন মানুষের সুখে, দুঃখে অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন সোনা ভাই। বিনা স্বার্থে লক্ষ লক্ষ টাকা সহযোগিতা করেন সাধারন মানুষের পিছনে, বিবাহ দায় কন্যা বিবাহের ব্যবস্থা করা,গরীব ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা করা,কৃষক ভাইদের পাশে থাকা এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তিনি সহোযোগিতা করে থাকেন।বিগত আমল থেকে বর্তমান সময়কাল পর্যন্ত হামলা মামলায় জর্জরিত নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর নেওয়ার পাশাপাশি জামিনের বন্দোবস্তো করেছেন দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নিয়েছেন ভুক্তভোগী তৃণমূলের নেতা কর্মীদের।

**তারা মানুষকে শুধু দিয়েই গেছেন বিনিময়ে পেয়েছেন সকলের ভালোবাসা।

কাজী ইমদাদুল হক সোনা ভাইয়ের পিতা ছিলেন একজন ডাক্তার, তার ভাই কাজী মনোয়ার হোসেন ছিলেন একজন সচিব ম্যাডাম জিয়ার খুব আস্তা ভাজন ছিলেন তিনি,তার অন্য ভাই ছিলেন ইরানের ডাক্তার,অন্য ভাইয়েরা প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী,এছাড়াও জ্ঞাতিগুষ্ঠীর মধ্যে অনেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা রেয়েছে ,কাজী ইমদাদুল হক সোনা ভাইয়ের দুই পুত্র যারা বিভিন্ন ব্যবসায়িক ও সামাজিক কাজে নিয়জিত আছেন।

*** পরিশেষে শুধু বলতে চাই সকলের উদ্দেশ্যে আসুন আমারা কাজী কামাল ও তার পরিবার সম্পর্কে জনি এবং জ্ঞান অর্জন করি।

কাজী পরিবার বাংলাদেশের একটি ব্রান্ড, বাংলাদেশের সেরা ২০ টি পরিবারের একটি কাজী পরিবার,,,,

তথ্য সূত্র ঃ শহিদুজ্জামান শহিদ( সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছাত্রদল,সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান যুগ্ম আহবায়ক শালিখা উপজেলা বিএনপি)