আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সম্প্রতি পৃথিবীর ঘূর্ণনের গতি বেড়েছে। এর ফলে রাত-দিন দুটোই ছোট হয়ে আসছে। সম্প্রতি নিজ কক্ষপথে ঘূর্ণনে আগের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে পৃথিবী। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, এ পরিবর্তনের প্রভাব ‘ধ্বংসাত্মক’ হতে পারে। খবর এনডিটিভি ও ইন্ডিপেন্ডেন্টের।

সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, গত ২৯ জুলাই পৃথিবীর ২৪ ঘণ্টার থেকে ১ দশমিক ৫৯ মিলিসেকেন্ড কম সময়ে একবার নিজ কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করেছে। এর ফলে সবচেয়ে ছোট দিন পেয়েছে পৃথিবী।

এর আগে ১৯৬০ সালের পর ২০২০ সালে পৃথিবী সবচেয়ে ছোট মাস পেয়েছিল। ওই বছরের ১৯ জুলাই সবচেয়ে কম সময়ে পৃথিবী তার কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করে। ওই সময় ১ দশমিক ৪৭ মিলিসেকেন্ড কম সময়ে প্রদক্ষিণ করেছিল পৃথিবী। পরের বছর (২০২১) পৃথিবীর ঘূর্ণয়নের মাত্রা বাড়তে থাকে। ইন্টারেস্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং (আইই) অনুসারে, ৫০ বছরের মধ্যে একটি ছোট দিনের অধ্যায় এখনই শুরু হতে পারে।

তবে পৃথিবী ঘূর্ণনের বিভিন্ন গতির কারণ এখনো অজানা। বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন, এর জন্য বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। তাদের মতে, মহাসাগরে জোয়ার-ভাটা কিংবা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেও এমন ঘটনা ঘটতে পারে। এ ছাড়া চাঁদের আকর্ষণ, মধ্যাহ্নশক্তি ও মহাকর্ষ শক্তির বিষয়টিতো রয়েছেই।

বিজ্ঞানী লিওনিড জোটোভ, ক্রিশ্চিয়ান বিজুয়ার্ড এবং নিকোলে সিডোরেনকভের মতে, পৃথিবীর উপরিভাগ চ্যান্ডলার ওয়াবল নামে পরিচিত। ওই জায়গা থেকেই গতি পেতে শুরু করে পৃথিবী। সেখানকার কোনো কারণেও গতি দ্রুত হতে পারে। আবার কখনো ধীরগতিও হতে পারে।

এদিকে পৃথিবীর ঘূর্ণনের গতি বেড়ে যাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবী যদি এইভাবে ক্রমবর্ধমান হারে ঘুরতে থাকে, তবে তা নেতিবাচক লিপ সেকেন্ডের প্রবতর্নের দিকে নিয়ে যাবে বিশ্বকে। যাকে ড্রপ সেকেন্ড বলে। এর ফলে স্মার্টফোন, কম্পিউটার ও যোগাযোগব্যবস্থার জন্য বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে। টাইমার (ঘড়ি) সফটওয়ারের ওপর বিধ্বংসী প্রভাব ফেলতে পারে। ফলশ্রুতিতে সফটওয়্যার ক্র্যাশ ও ডাটা স্টোরেজ নষ্ট হতে পারে।