আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এক বাড়িতেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে একটি নয় দুটি নয়, নয়টি মৃতদেহ। তাদের ঘিরে এখন রাজ্যজুড়ে রহস্য। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ভারতের মহারাষ্ট্রের সাংলি জেলার মহিশাল গ্রামে। এক পরিবারের নয়জন সদস্যের মৃত্যুতে হতবাক এলাকাবাসীরাও। খবর এনডিটিভির।

তাদের মৃত্যুকে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে করে তদন্ত করছে পুলিশ। কিন্তু ঘটনার কোনো কুল-কিনারা মিলছে না। মৃতদের থেকে পাওয়া যায়নি কোনো সুইসাইড নোট।

স্থানীয়রা বলছেন, মৃতদের মধ্যে দুই ভাই পোপট ভ্যানমোর এবং মানিক ভ্যানমোর প্রায়শই বলতেন যে তারা বিদেশে একটি কোম্পানি থেকে মোটা অঙ্কের টাকা পাবেন।

সোমবারের আগে মহিশালে ভ্যানমোর ভাইদের পরিবারের নয়জন সদস্যকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। পুলিশ সন্দেহ করছে এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা। যদিও প্রাথমিক তদন্তে দেখা যাচ্ছে যে ভাইরা বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে প্রচুর অর্থ ধার করেছিল।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, দুটি পরিবারই শিক্ষিত ছিল কারণ এক ভাই (মানিক ভ্যানমোর) পশুচিকিৎসক ছিলেন এবং অন্যজন (পোপট ভ্যানমোর) ছিলেন শিক্ষক। পোপটের মেয়ে কোলহাপুরের একটি ব্যাঙ্কে চাকরি করত। এটা খুবই মর্মান্তিক যে পুরো পরিবারটি এমন চরম পদক্ষেপ নিয়েছে।

তিনি আরো জানান, ভানমোর ভাইরা প্রায়ই বড়াই করত যে তারা বিদেশের একটি কোম্পানি থেকে মোটা অঙ্কের টাকা পাবে। শোনা যায় যে দুই ভাই প্রায়ই বলতেন তারা ৩ হাজার কোটি রুপি পাবে।

নিহতদের মধ্যে তাদের মা, স্ত্রী ও চার সন্তান রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, পরিবারটি বিষ খেয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।