আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং তার ছেলে ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হামজা শাহবাজ শরিফ অর্থ পাচার মামলায় গ্রেফতার হতে পারেন! ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন অ্যাজেন্সি (এফআইএ) শনিবার লাহোরের বিশেষ আদালতকে জানিয়েছে যে সংস্থাটি ১৬ বিলিয়ন রুপির অর্থ পাচার মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার করতে চায়।

এফআইএর আইনজীবী বলেন, চালানে উল্লেখমতে, অধিকতর তদন্তের জন্য তাদের গ্রেফতার করা প্রয়োজন।

অর্থ পাচার মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা দরকার কিনা, আদালতের এমন প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী এ মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ ও মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

শুনানি শুরু হওয়ার সময় পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) আইনজীবী আমজাদ পারভেজ আদালতে বলেন যে এই মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। দলের নেতাদের ভুয়া মামলায় জড়ানো হয়েছে।

পারভেজ আরো বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে একই মামলায় দুটি ভিন্ন আদালতে বিচার করা যায় না। তিনি আরেকটি অর্থ পাচার মামলা দায়ের করেছে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)।

তবে এফআইএর আইনজীবী আরো বলেন যে এফআইএ প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করার তাগিদ দিচ্ছে না। কারণ ইতোমধ্যেই চালান দাখিল করা হয়েছে।

পারভেজ বলেন, সন্দেহভাজন ‘মুস্তাক’ সাক্ষী দেননি, আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্তও হননি।

তিনি বরেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কারাবন্দী থাকার সময় এফআইএ তদন্ত করেছিল। আগের সরকার তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় সকল ব্যবস্থা ব্যবহার করেছিল।
এদিকে আদালতের অনুমতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ ও মুখ্যমন্ত্রী হামজা আদালতকক্ষ ত্যাগ করেন।

এর আগে ২৮ মের শুনানিকালে লাহোরের বিশেষ আদালতের বিচারক প্রধানমন্ত্রী হামজা শরিফের ছেলে সোলেমান শাহবাজের বিরুদ্ধে ‘অসম্পূর্ণ’ গ্রেফতারি পরোয়ানা দাখিল করার জন্য এফআইএ আইনজীবীকে তিরস্কার করেছিল।

বিচারক ইজাজ আওয়ান মন্তব্য করেছিলেন, ‘পরোয়ানা কে জারি করেছিলেন? এখানে সোলেমানের বাবার নাম উল্লেখ করা হয়নি।’

আদালত সোলেমানকে ঘোষিত অপরাধী হিসেবে ঘোষণা করে আইনিপ্রক্রিয়া শুরু করে।
সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন