আন্তজাতিক ডেস্ক : দীর্ঘ সময় থেকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। রুশ সেনাদের তীব্র হামলায় পূর্ব ইউরোপের এই দেশটি বর্তমানে অনেকটাই বিপর্যস্ত। আর চলমান এই সামরিক অভিযানে ঘুরেফেরেই আলোচনায়-মারিওপোল। শুরু থেকেই, আজভ সাগর তীরের বন্দর নগরীটি অবরূদ্ধ রুশ বাহিনীর হাতে। সম্প্রতি রাশিয়ার সেনারা মধ্যে এপ্রিল থেকে ওই অঞ্চলটির অন্তত ১৬ হাজার বাসিন্দাকে গণকবর দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের মারিওপোল শহরের মেয়র ভিদিম বয়শেঙ্কো। তিনি আরো জানান মৃতদেরকে স্তারি ক্রিম, মানহাশ ও ভিনোরাদনে গ্রামের নিকটবর্তী গণকবরে সমাহিত করা হয়েছে।

মেয়র জানান, মধ্য এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত স্তারি ক্রিম গ্রামের সমাধি ক্ষেত্রে ২৫টি গর্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। তার দাবি, কয়েক ধাপে এসব গর্তে মরদেহ সমাহিত করা হয়েছে। এরপর সেগুলোকে এক ব্যক্তির কবর হিসেবে দেখিয়ে নামফলক লাগানো হয়েছে। ভিদিম বয়শেঙ্কো আরও বলেন, ‘আমাদের হিসেব মতে মারিওপোলে ২২ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। তবে তথ্য বলছে পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর।’ এই মেয়র আরও দাবি করেন, এখনও ধ্বংসস্তুপের মধ্যে এখন হাজারো মরদেহ চাপা পড়ে আছে।

উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ২০০৮ সাল থেকে আবেদন করে ইউক্রেন। মূলত, এ নিয়েই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তবে সম্প্রতি ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় দ্বন্দ্বের তীব্রতা আরও বাড়ে। ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো। কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। ঠিক তার দুদিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে।