আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনের সঙ্গে থাকা দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তের কাছে তিনটি এলাকায় বিশেষ অভিযানের বাহিনী মোতায়েন করতে যাচ্ছে বেলারুশ। দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশ বেলারুশের কয়েক হাজার সেনা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রুশ সেনাদের সঙ্গে সামরিক অভিযানে অংশও নিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘সর্বাত্মক হামলার’নির্দেশের পরপরই তারা সীমান্ত টপকে ইউক্রেনে প্রবেশ করে। যদিও পরবর্তীতে মার্চ মাসে মিনস্ক জানিয়েছে তাদের সশস্ত্র বাহিনী মিত্র দেশ রাশিয়ার ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ অংশ নেবে না।

ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো গত কয়েক মাস ধরে বেলারুশ সীমান্তে সৈন্য জড়ো করছে বলে অভিযোগ করে আসছে। এর পাল্টা জবাবে সামরিক মহড়ার পরিমাণ ও তীব্রতা বাড়িয়েছে মিনস্ক। রাশিয়া, ইউক্রেন ব্যতিত বেলারুশ সীমান্তবর্তী পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া ও লাটভিয়া দেশ তিনটি যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য।

বেলারুশের চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভিক্টর গুলেভিচ বেলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং এর মিত্ররা বেলারুশ প্রজাতন্ত্রের সীমান্তে ধারাবাহিকভাবে সামরিক উপস্থিতি গড়ে তুলছে। গত ৬ মাসে সৈন্য সমাবেশ পরিশাণ দ্বিগুণেরও বেশি করা হয়েছে। তাই পোল্যান্ড সীমান্তবর্তী পশ্চিমাঞ্চলে সামরিক মহড়ায় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, কামান ও ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিট মোতায়েন করতে যাচ্ছে বেলারুশ।

বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো বলেছেন, মিনস্ক যেন ইস্কান্দারের মতো ক্ষেপণাস্ত্র বানাতে পারে, সেজন্য তাদেরকে সাহায্য করতে রাজি হয়েছে মস্কো। রাশিয়ার বানানো এস-৪০০ ও এস-৩০০ ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাপনা ব্যবহার বেলারুশ অব্যাহত রাখতে চায় বলেও জানিয়েছেন তিনি।