আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চলছে, যুদ্ধ নয়। বার বারই এই দাবি করছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যদিও ইতোমধ্যেই ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ৭০ দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। তবে এবার পুতিন সেখানে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারেন। এ বিষয়ে নাকি নিশ্চিত পশ্চিমী দুনিয়া। তাদের আশঙ্কা ইউক্রেনে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ ঘোষণার জন্য আগামী ৯ মে দিনটিকে বেছে নিতে পারেন পুতিন।

পশ্চিমাদের ধারণা, ৯ মে যদি পুতিন যুদ্ধ ঘোষণা করেন, তা হলে পুরো শক্তি কাজে লাগাতে আর কোনো বাধা থাকবে না তার।

পুতিন যদি যুদ্ধ ঘোষণা করেন তা হলে ৯ মে দিনটিকেই কেন বেছে নেবেন?

সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ৯ মে রাশিয়ার জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। এই দিনটিকে রাশিয়া ‘বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন করে। আর এই দিনেই পুরো বিশ্বের সামনে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করে তারা। প্রসঙ্গত, ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ৯ মে হিটলারের নাৎসি সেনাদের পরাজিত করেছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন বাহিনী। আর সেই থেকেই এই দিনটিকে ‘বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন করে মস্কো।

কেন ওই দিন যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারেন পুতিন? তার আরও একটি কারণও আছে। রাশিয়া-ইউরেশিয়া প্রোগ্রামের অধিকর্তা জেমস নিক্সি জানিয়েছেন, দেশের মানুষের কাছে পুতিনের যে ভাবমূর্তি রয়েছে সেটা যাতে কোনও ভাবে ফিকে না হয় এটি তার একটা প্রচেষ্টা মাত্র। আর তাই যুদ্ধ ঘোষণার জন্য ৯ মে-কে পুতিন বেছে নিতে চাইবেন।

তবে হঠাৎ করে যুদ্ধ ঘোষণা করলেও যে একটা সমস্যা তৈরি হতে পারে সেটা ভাল ভাবেই জানেন রুশ প্রেসিডেন্ট। দেশের একাংশ চাইছেন ইউক্রনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা হোক। কিন্তু একটা বড় অংশ রুশ প্রেসিডেন্টের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ। ফলে দেশের অভ্যন্তরে যাতে নতুন সমস্যা তৈরি না হয় তাই তিনি খুব সাবধানী পদক্ষেপ করতে চাইছেন বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: আনন্দবাজার