মোঃ বাদশা প্রামানিক নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীর ডিমলায় খাবারের সঙ্গে ঘুমের ঔষুধ খাইয়ে ঘুমন্ত স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দ্বিতীয় স্ত্রীর বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় ভুক্তভোগীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার পূর্ব ছোট খাতা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত মোছা. আসমা বেগম (৩০) নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার দক্ষিণ সাদাচর ইউনিয়নের ফিরোজ মিয়ার মেয়ে। অন্যদিকে ভুক্তভোগী উপজেলার খালিশাচাপানী ইউনিয়নের পূর্ব ছোট খাতা গ্রামের মো. সাদেক আলীর ছেলে ছদ্মনাম কামরুজ্জামান(৩২)। তিনি পেশায় ফটোগ্রাফার।

এলাকাবাসী জানান, প্রথম স্ত্রীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের তিন বছর পর মোছা. আসমা বেগমকে বিয়ে করেন কামরুজ্জামান। ২০ দিন আগে ফের স্থানীয় এক মেয়েকে বিয়ে করেন কামরুজ্জামান।গতকাল সন্ধ্যায় রাতে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ঔষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দেন তাকে। এর পর রাত ১২টার দিকে ব্লেড দিয়ে কামরুজ্জামানের গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেন স্ত্রী। এ সময় কামারুজ্জামান চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। পরে রাতেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। আর এ ঘটনার পর থেকেই পালাতক রয়েছেন মোছা. আসমা বেগম।

ডিমলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রহিম বলেন, বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।