১০টির বেশি সিম আজ থেকে বন্ধ করছে বিটিআরসি
- আপডেট: ০১:৩৯:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫
- / ৭

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আজ (১ নভেম্বর) থেকে একজন গ্রাহকের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে ১০টির বেশি সক্রিয় সিম রাখা যাবে না। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, আজ থেকেই মোবাইল অপারেটরগুলো অতিরিক্ত সিম নিষ্ক্রিয় করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
এর আগে একজন ব্যবহারকারী সব অপারেটর মিলিয়ে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম রাখতে পারতেন। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী এখন থেকে সর্বাধিক ১০টি সিম রাখা যাবে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী বলেন, “শনিবার (১ নভেম্বর) থেকে অপারেটররা অতিরিক্ত সিম নিষ্ক্রিয় করবে। ডিসেম্বরের মধ্যেই নিশ্চিত করা হবে— কোনো এনআইডির নামে ১০টির বেশি সিম সক্রিয় না থাকে।”
বিটিআরসি জানায়, সিম ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও প্রতারণা প্রতিরোধের লক্ষ্যেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে একটি এনআইডিতে একাধিক সিম ব্যবহার করে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা ও সাইবার অপরাধের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় এ সীমা কার্যকর করা হচ্ছে।
গ্রাহকরা এখন অনলাইনে বা মোবাইল ফোনে *১৬০০২# ডায়াল করে নিজেদের এনআইডিতে নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা জানতে পারবেন।
বিটিআরসি সূত্র জানায়, অতিরিক্ত সিম বন্ধে ‘দৈবচয়ন’ (Random Selection) নীতি অনুসরণ করা হবে।
সংস্থার এক কর্মকর্তা বলেন,“যদি কোনো ব্যক্তির নামে ১০টির বেশি সিম থাকে, তাহলে কোন সিম নিষ্ক্রিয় হবে তা কম্পিউটার স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারণ করবে। এতে কোনো মানবিক প্রভাব বা পছন্দ-অপছন্দের সুযোগ থাকবে না।”
এ প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় কম্পিউটার অ্যালগরিদম ব্যবহার করা হবে, যাতে সিদ্ধান্ত গ্রহণে কোনো অনিয়মের সুযোগ না থাকে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিটিআরসি আরও জানিয়েছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সিম ও মোবাইল ডিভাইসের যৌথ ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু করা হবে। এতে অবৈধ বা নিবন্ধনবিহীন সিম ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশে সক্রিয় মোবাইল সিমের সংখ্যা ১৮ কোটি ৬২ লাখ, অথচ প্রকৃত গ্রাহক মাত্র ৬ কোটি ৭৫ লাখ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী—
৮০% গ্রাহকের নামে রয়েছে ১–৫টি সিম
১৬% গ্রাহক ব্যবহার করেন ৬–১০টি সিম
আর মাত্র ৩% গ্রাহকের নামে রয়েছে ১১টির বেশি সিম
















