‘সাক্ষ্য-প্রমাণ এতই শক্তিশালী, পৃথিবীর যেকোনো আদালত হাসিনাকে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে পারে’
- আপডেট: ০২:৪৮:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
- / ১১

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য-প্রমাণ এতই শক্তিশালী যে, পৃথিবীর যেকোনো আদালত তার সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে পারে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য-প্রমাণ স্বচ্ছ।
বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিয়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এতগুলো মানুষ জীবন হারিয়েছে, অসংখ্য মানুষ পঙ্গু হয়েছে; অথচ অপরাধীদের মধ্যে কোনও অনুশোচনা নেই। বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটাধিকার হারিয়েছে সেটি নিয়েও তাদের কোনও অনুশোচন নেই। এটাই সবচেয়ে দুঃখের বিষয়।
তিনি আরও বলেন, ‘বাইরে কেউ কেউ প্রশ্ন তোলে, আসামিরা ন্যায়বিচার পাবে কি না। ১ হাজার ৪০০ মানুষ যে নিহত হয়েছেন, তারা কি ন্যায়বিচার পাবেন না? ৩০ হাজার পঙ্গু মানুষের ন্যায়বিচার কি হবে না? এগুলোও বিচার ব্যবস্থার উপর প্রশ্ন তোলে।
সাক্ষ্য-প্রমাণের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, এ মামলায় যে সাক্ষ্য-প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে, বিশ্বের যেকোনো সাক্ষ্য আইনের মানদণ্ডে সেগুলো বাতিল বা খারিজ করার সুযোগ খুবই কম। দলিল, মৌখিক ও সব ধরনের সাক্ষ্য দ্বারা প্রসিকিউশন প্রমাণ করেছে, এ অপরাধগুলো সংঘটিত হয়েছে এবং আসামিরা এতে জড়িত।
এসময় ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম শেখ হাসিনা ও তার সহযোগী আসাদুজ্জামানের সর্বোচ্চ শাস্তি চান। তিনি বলেন, ‘এত অপরাধের পরও শেখ হাসিনার মধ্যে বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই। উল্টো মামলাকারীদের নিশ্চিহ্ন করার হুমকি দিচ্ছেন। সেনাবাহিনীকে বিভিন্নভাবে উস্কানি দিচ্ছেন। তবে দেশপ্রেমিক সেনাবহিনী এই ফাঁদে পা দেয়নি। পলাতক থেকে শেখ হাসিনা দেশে গৃহযুদ্ধ বাধানোর চেষ্টা করছে।
এদিকে, অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় কবে হবে তা আগামী ১৩ নভেম্বর জানা যাবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ দুপুর সোয়া ১২টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ তারিখ ঘোষণা করেন।



























