১২:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ১০:৫৫:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৪৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আওয়ামী লীগের দেড় দশকের শাসনামলে গুম-খুনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হেফাজতে থাকা ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই নির্দেশ দেন। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এর আগে সকাল ৭টার পর সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

কারাগারে পাঠানো ১৫ সেনা কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন— র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে. এম. আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন এবং কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (বর্তমানে অবসরকালীন ছুটিতে)।

এছাড়া র‍্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম এবং বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলমও অভিযুক্ত হিসেবে কারাগারে পাঠানো হয়েছেন।

তাছাড়া ডিজিএফআইয়ের সাবেক তিন পরিচালক— মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকীকেও জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

সেনা কর্মকর্তাদের আদালতে হাজিরের ঘটনায় রাজধানীজুড়ে নেওয়া হয় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কাকরাইল, মৎস্য ভবন, পল্টন ও হাইকোর্ট মাজারগেট এলাকায় সকাল থেকেই মোতায়েন ছিল সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব ও পুলিশের সদস্যরা।

ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণ ও আশপাশে সাধারণ মানুষের চলাচলেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। আদালত এলাকায় টহল জোরদার এবং প্রবেশপথে বসানো হয় অতিরিক্ত নিরাপত্তা তল্লাশি পয়েন্ট।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্র জানিয়েছে, অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের আদালতে হাজির করা এবং শুনানিকে ঘিরে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতেই এই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের

আপডেট: ১০:৫৫:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আওয়ামী লীগের দেড় দশকের শাসনামলে গুম-খুনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হেফাজতে থাকা ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই নির্দেশ দেন। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এর আগে সকাল ৭টার পর সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

কারাগারে পাঠানো ১৫ সেনা কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন— র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে. এম. আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন এবং কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (বর্তমানে অবসরকালীন ছুটিতে)।

এছাড়া র‍্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম এবং বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলমও অভিযুক্ত হিসেবে কারাগারে পাঠানো হয়েছেন।

তাছাড়া ডিজিএফআইয়ের সাবেক তিন পরিচালক— মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকীকেও জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

সেনা কর্মকর্তাদের আদালতে হাজিরের ঘটনায় রাজধানীজুড়ে নেওয়া হয় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কাকরাইল, মৎস্য ভবন, পল্টন ও হাইকোর্ট মাজারগেট এলাকায় সকাল থেকেই মোতায়েন ছিল সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব ও পুলিশের সদস্যরা।

ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণ ও আশপাশে সাধারণ মানুষের চলাচলেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। আদালত এলাকায় টহল জোরদার এবং প্রবেশপথে বসানো হয় অতিরিক্ত নিরাপত্তা তল্লাশি পয়েন্ট।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্র জানিয়েছে, অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের আদালতে হাজির করা এবং শুনানিকে ঘিরে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতেই এই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।