০১:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

গুমের শিকার বিশেষ বন্দীদের কোড নেইম ছিল ‘মোনালিসা’, ভুক্তভোগীদের বলা হতো ‘সাবজেক্ট’

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৭:৫৬:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫
  • /

গ্রামের সংবাদ ডেস্ক : শেখ হাসিনার শাসন আমলে গুমের শিকার বন্দীদের আলাদা ‘কোড নেইম’ ছিল। বিশেষ বন্দীদের ডাকা হতো ‘মোনালিসা’ নামে।

শেখ হাসিনার শাসনামলে গুমের শিকার ব্যক্তিদের লোমহর্ষক নির্যাতনের বর্ননা বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনাল-১ এ তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

এদিন এক পর্যায়ে চিফ প্রসিকিউটর ট্রাইব্যুনালকে বলেন, গুমের শিকার ব্যক্তির হাত কেটে ফেলা, নখ উপড়ে ফেলা, ঘুর্নায়মান চেয়ারে বসিয়ে কিংবা ইলেকট্রনিক শক দিয়ে লোমহর্ষক সব নির্যাতন করা হতো।

এছাড়া গুমের শিকার বন্দীদের আলাদা ‘কোড নেইম’ ছিল। বিশেষ বন্দীদের ডাকা হতো ‘মোনালিসা’ নামে। আর গুম ঘরকে বলা হতো ‘আর্ট গ্যালারি’, যা পরবর্তীতে ‘আয়না ঘর’ হিসেবে পরিচিতি পায়।

অন্যদিকে, গোপন বন্দীশালা গুলোকে ‘হাসপাতাল’ বা ‘ক্লিনিক’ নামে ডাকা হতো। আর গুমের শিকার ভুক্তভোগীদের বলা হতো ‘সাবজেক্ট’।

আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুমের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক দুই মামলার অভিযোগ আমলে নিয়ে আজ গ্রেফরাতি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনাল-১।

প্রসিকিউসন পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ দুই মামলায় অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সেই সাথে আসামীদের গ্রেপ্তার করে হাজির করতে আগামী ২২ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

গুমের শিকার বিশেষ বন্দীদের কোড নেইম ছিল ‘মোনালিসা’, ভুক্তভোগীদের বলা হতো ‘সাবজেক্ট’

আপডেট: ০৭:৫৬:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫

গ্রামের সংবাদ ডেস্ক : শেখ হাসিনার শাসন আমলে গুমের শিকার বন্দীদের আলাদা ‘কোড নেইম’ ছিল। বিশেষ বন্দীদের ডাকা হতো ‘মোনালিসা’ নামে।

শেখ হাসিনার শাসনামলে গুমের শিকার ব্যক্তিদের লোমহর্ষক নির্যাতনের বর্ননা বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনাল-১ এ তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

এদিন এক পর্যায়ে চিফ প্রসিকিউটর ট্রাইব্যুনালকে বলেন, গুমের শিকার ব্যক্তির হাত কেটে ফেলা, নখ উপড়ে ফেলা, ঘুর্নায়মান চেয়ারে বসিয়ে কিংবা ইলেকট্রনিক শক দিয়ে লোমহর্ষক সব নির্যাতন করা হতো।

এছাড়া গুমের শিকার বন্দীদের আলাদা ‘কোড নেইম’ ছিল। বিশেষ বন্দীদের ডাকা হতো ‘মোনালিসা’ নামে। আর গুম ঘরকে বলা হতো ‘আর্ট গ্যালারি’, যা পরবর্তীতে ‘আয়না ঘর’ হিসেবে পরিচিতি পায়।

অন্যদিকে, গোপন বন্দীশালা গুলোকে ‘হাসপাতাল’ বা ‘ক্লিনিক’ নামে ডাকা হতো। আর গুমের শিকার ভুক্তভোগীদের বলা হতো ‘সাবজেক্ট’।

আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুমের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক দুই মামলার অভিযোগ আমলে নিয়ে আজ গ্রেফরাতি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনাল-১।

প্রসিকিউসন পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ দুই মামলায় অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সেই সাথে আসামীদের গ্রেপ্তার করে হাজির করতে আগামী ২২ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়েছে।