ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত প্রতিষ্ঠানটির দুজন উপপরিচালক ও সাবেক গাড়ি চালক সৈয়দ আবেদ আলী সহ গ্রেপ্তার ১৭ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এর আগে গাড়িচালক আবেদ আলীর ছেলে সোহানুর রহমান সিয়াম সহ ১০ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত এ আদেশ দেন।

এদিন এ মামলায় গ্রেপ্তার ১৭ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এর মধ্যে পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীসহ সাত আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।

এছাড়া অপর ১০ আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। পরে ১০ আসামির জামিন চেয়ে আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ১০ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন- পিএসসির উপপরিচালক আবু জাফর ও জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক আলমগীর কবির, সাবেক সেনা সদস্য নোমান সিদ্দিকী, অডিটর প্রিয়নাথ রায়, ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মামুনুর রশীদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান নিয়ামুন হাসান।

উল্লেখ্য, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরে গত রবিবার (৭ জুলাই) ‘বিসিএস প্রিলি-লিখিতসহ গুরুত্বপূর্ণ ৩০ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস’ শিরোনামে এক প্রতিবেদনে পিএসসির ক্যাডার ও নন-ক্যাডারসহ বিভিন্ন সরকারী চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ আনা হয়। ওই প্রতিবেদনে গত ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত রেলওয়ের ৫১৬টি পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করা হয়।

বেসরকারি এ নিউজ চ্যানেলটির এ প্রতিবেদনের পর বিষয়টি আলোচনায় আসে। পড়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে পিএসসির দুই উপপরিচালক ও গাড়ি চালক সৈয়দ আবেদ আলীসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।