ঝিকরগাছায় স্ত্রীকে হত্যা করে ঘরে লাশ ঝুলিয়ে রেখে স্বামী পলাতক
- আপডেট: ০৬:০৪:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ৬১

আশরাফুজ্জামান বাবু, স্টাফ রিপোর্টার : যশোরের ঝিকরগাছার গদখালী ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের মৃত জয়নাল দফাদারের পুত্র জাহিদুল ইসলাম (৪২) এর বিরুদ্ধে তার স্ত্রী মাসুরা খাতুন (৩৫)কে শ্বাসরোধে হত্যার পরে ঘরের বাঁশের আড়ার সাথে লাশ ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
নিহতের খালাতো ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ৮/৯ বছর আগে জাহিদুল এর সাথে মাসুরার বিয়ে হয়। দুজনেরই এটা ২য় বিয়ে। তাদের ঘরে ৭ ও ৩ বছরের দুটি পুত্র সন্তান আছে। জাহিদুল মাদকাসক্ত এবং মাদক ব্যবসায়ী। বিয়ের পর থেকেই সে আমার বোনকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করতো। মাঝে মাসুরা নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে জাহিদুলকে কোর্ট তালাক করে। পরবর্তীতে এলাকার লোকজন ধরাধরি করে মাস তিনেক আগে আবারও মাসুরাকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসে জাহিদুল।
গত ৮ সেপ্টেম্বর বিকেলেও সে তাকে বেদম মারপিট করে। পরবর্তীতে রাত ১২ টার দিকে জাহিদুল আমাকে ফোন দিয়ে বলে, মাসুরা গলায় দড়ি দিয়ে মারা গিয়েছে। সকালে এসে দেখি মাসুরার লাশ খাটের ওপর হাটু মোড়ানো অবস্থায় ঘরের আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে ঝোলানো আছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে তাকে হত্যার পরে এভাবে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে খবর পেয়ে ঝিকরগাছা থানা পুলিশের একটি দল জাহিদুলের বসত বাড়ি থেকে মাসুরার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে এবং থানায় নিয়ে আসে। এলাকাবাসীর ধারণা জাহিদুল মাদকাসক্ত হওয়ায় গতরাত ১২টা থেকে ভোর ৫টার মধ্যে যে কোন সময়ে স্ত্রীকে হত্যা করে ওড়না দিয়ে ঘরে ঝুলিয়ে রেখে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছে।
ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ গাজী বলেন, লাশের অবস্থান দেখে প্রাথমিক ভাবে এটাকে হত্যাকান্ড বলেই মনে হচ্ছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটি যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ জাহিদুল একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। এলাকার লোক তাকে এলকো চেয়ারম্যান বলে ডাকে। তার নামে বিভিন্ন থানায় কয়েকটি মাদকের মামলা আছে। তারা এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবী জানিয়েছেন। এদিকে মাসুরার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গিয়েছে।