স্বপন বিশ্বাস, শালিখা (মাগুরা) প্রতিনিধি: আজ দুজনার দুটি পথ/ওগো দুদিকে গেছে বেঁকে। পুরনো এই গানের মতই মাগুরার শালিখার সামাজিক অস্থিরতা, ব্যক্তিগত স্বার্থপরতা, উচ্চবিলাসীতা, বনিবনা না হওয়া, পরকিয়া, মতভেদসহ নানাবিধ কারণে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদের সংখ্যা পরিসমাপ্তি ঘটছে দাম্পত্য জীবনের।

করোনা উত্তর মুহূর্তে বিচ্ছেদের ঘটনা বেশি ঘটছেন বলে মনে করছেন অনেকে। শালিখা উপজেলার মুসলিম বিবাহ ও তালাক রেজিস্টার্ডের দেওয়া এক পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় পুরুষ নয় নারীদের তরফ থেকেই দেয়া হয়েছে অধিকাংশ তালাকের নোটিশ। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত অর্থাৎ গত ছয় মাসে ধনেশ্বরগাতে ইউনিয়ন-১৩, তালখড়ি ইউনিয়ন-২৫ শতখালী ইউনিয়ন-২৫, শালিখা ইউনিয়ন-১৭, বুনাগাতী ইউনিয়ন-২১, গঙ্গারামপুর ইউনিয়ন-১৫ সহ উপজেলার সাত ইউনিয়নে ১৫৯ জন নারী তাদের স্বামীদের ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন। যেখানে ৫৮২টি বিবাহ বা নিকাহ সম্পন্ন হয়েছিল। এরমধ্যে ১৫ বিবাহের বিচ্ছেদ ঘটেছে যার পুরোটাই তরফ থেকে। শালি খায় দিন দিন বেড়েই চলেছে তালাকের ফলে পৃথক হয়ে হচ্ছে শুধু তাই নয় পানাদার অবহেলা শিকার হচ্ছেন সন্তানেরা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে শিশু সন্তানের ভবিষ্যৎ ভেঙ্গে যাচ্ছে সংসার ও পারিবারিক বন্ধন প্রবণতা সমাজ ব্যবস্থায় বিরূপ প্রভাব পড়ছে বিবর্তন উন্নানের সঙ্গে মানুষের চিন্তা ধারায় পরিবর্তন সাধিত হয়েছে তবে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঘটনা স্বামী স্ত্রীর মধ্যে যখন চরমভাবে বিরোধ দেখা দেয়। মিলেমিশে শান্তিপূর্ণ ও জীবন যাপন অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায় মধুর সম্পর্ক তারাগার মাধ্যমে ছিন্ন করা হয় নারী। সঙ্গত কারণে তালাক ইসলামে বৈধ তবে এটি সবচেয়ে নিম্নতম যতগুলোর তাড়াতাড়ি ঘটনা ঘটছে একই রকম।

এভাবে দিনে দিনে পরিসংখ্যান বাড়তে থাকলে রাষ্ট্রের জন্য শীতকাল হবে না পাশাপাশি বিবাহ বিচ্ছেদের পিছনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো অন্যতম ভূমিকা মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

এ ব্যাপারে ফ্রী ইন্দ্রনীল অ্যাসোসিয়েট এর প্রধান সংগঠক ও গবেষক ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উন্নয়ন কাজ হাতে নিয়েছেন সেটা বাস্তবায়ন করলে একদিকে নারীরা যেমন তাদের অধিকার পাবে অপরদিকে এদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের রেস পাবে।

জানতে চাইলে উপজেলা কোর্ট মসজিদের খতিব মোশারফ হোসেন বলেন ইসলামে সর্বনিম্ন বৈধ কাজ তবে তালাকের ঘটনাটা হতে হবে স্বামীর পক্ষ থেকে স্ত্রীর পক্ষ থেকেও হতে পারে। স্বামী তাকে অধিকার প্রদান করে তবে বর্তমান সমাজে যে নিয়মে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটছে তার অনেকটাই রিয়াদ সম্মত নয় বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি প্রতিটা ইসলামিক পরিবারে ইসলামের নিয়ম কানুন মানলে নারী পুরুষ এর মধ্যে বিচ্ছেদের প্রবণতা হ্রাস পাবে বলেও মনে করেন তিনি।