খেলাধুলা | তারিখঃ মার্চ ৩১, ২০২৩ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 3515 বার
খেলাধুলা ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি জিতে আগেই সিরিজ জিতে নিলেও শেষ ম্যাচে জিতলো আইরিশরা। কিন্তু প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করতে গিয়ে নিজেরাই লজ্জায় পড়ে গেলো টাইগাররা। চট্টগ্রামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে রীতিমত উড়িয়ে দিয়েছে আয়ারল্যান্ড। ৭ উইকেট আর ৬ ওভার হাতে রেখে পাওয়া সহজ জয়ে ১-২ ব্যবধানে হেরে সিরিজ শেষ করেছে তারা।
আয়ারল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য ছিল মাত্র ১২৫ রানের। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় আইরিশরা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ওপেনার রস এডায়ারকে (৯ বলে ৭) বোল্ড করেন তাসকিন আহমেদ। এরপর লরকান টাকারকে (৪) উইকেটরক্ষক লিটন দাসের ক্যাচ বানান শরিফুল ইসলাম। ওই পর্যন্তই।
অধিনায়ক পল স্টারলিং আর সুযোগ দেননি টাইগার বোলারদের। ঝোড়ো গতিতে ৩১ বলে ফিফটি পূরণ করেন। অভিষিক্ত রিশাদের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে তিনি যখন ফিরেছেন, আইরিশদের ৪৭ বলে দরকার মাত্র ১৬ রান। ৪১ বলে ৭৭ রানের ঝোড়ো ইনিংসটি স্টারলিং সাজিয়েছিলেন ১০ চার আর ৪ ছক্কায়। হ্যারি টেক্টর ১৪ আর কুর্তিস ক্যাম্ফার ১৬ রান নিয়ে বিজয়ীর বেশেই মাঠ ছাড়েন।
এর আগে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে একশর আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল বাংলাদেশ। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বলতে গেলে একাই লড়াই করেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। তার লড়াকু হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে আইরিশদের বিপক্ষে টেনেটুনে সম্মানজনক পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ। ৪ বল বাকি থাকতে অলআউট হয় ১২৪ রানে।
আগের দুই ম্যাচে টস হারলেও প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছিলো বাংলাদেশ। তৃতীয় ম্যাচে এসে টস জিতে নিজেরাই বেছে নিয়েছে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত। কিন্তু এবার শুরু থেকেই মহাবিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা।
ব্যাটিং বিপর্যয় চলমান রেখে দ্রুত আউট হয়ে যান সাকিব আল হাসান এবং তাওহিদ হৃদয়ও। দলকে ৪১ রানের মাথায় বসিয়ে আউট হন দু’জনই। ৬ বলে সাকিব ৬ রান করেন। সম্ভাবনাময়ী তরুণ তাওহিদ হৃদয়ের ওপর আস্থা ছিল এই বিপর্যয়ে হাল ধরবেন। কিন্তু তিনিও পারলেন না। দলীয় ৪১ রানের মাথায় আউট হন তিনিও। ১০ বলে একটি করে চার-ছক্কায় হৃদয় করেন ১২ রান।
সেখান থেকে অভিষিক্ত রিশাদ হোসেন এবং শামীম পাটোয়ারী চেষ্টা করেন হাল ধরার। ২০ রানের জুটি গড়ে ৬১ রানের মাথায় আউট হয়ে যান রিশাদ। ৭ বলে ৮ রান করেন তিনি। তাসকিন আহমেদ আউট হন কোনো রান না করেই।
আইরিশ পেসার মার্ক এডায়ার ২৫ রানে নেন ৩টি উইকেট। অভিষিক্ত বাঁহাতি স্পিনার ম্যাথু হামপ্রিস ১০ রান দিয়ে শিকার করেন ২টি উইকেট।