খেলাধুলা রিেপার্ট : ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে জয়ের মুখ দেখলো বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে বাংলাদেশের দেওয়া ২৪৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৯৬ রানে সব উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। যার কারণে ৫০ রানের বড় জয় পায় টাইগাররা। এর মধ্যে দিয়ে হোয়াইটওয়াশ এর লজ্জা থেকে রেহাই পেল বাংলাদেশ। টাইগাররা এ ম্যাচে জয় পেলেও তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ আগেই জিতে নিয়েছে ইংল্যান্ড।

এর আগে শেষ ব্যাটসম্যান মোস্তাফিজুর রহমান এলবিডব্লু হওয়ার পর ২৪৬ রানেই থামে বাংলাদেশের ইনিংস, ইনিংসে বাকি ছিল ৭ বল। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামার পর দুই ওপেনার দ্রুত ফেরার পর পুনর্গঠনের কাজ করেছিলেন মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন। শুরুতে বেশ ধীরগতির হলেও ফিফটির দেখা পান দুজনই।

তবে নাজমুলের রানআউটের পর আবার চাপে পড়ে তারা। সাকিবকে কিছুক্ষণ সঙ্গ দেওয়ার পর ফেরেন মুশফিকও, এরপর মাহমুদউল্লাহও বেশিক্ষণ টেকেননি। ভালো একটা সংগ্রহের দিকে এগোতে গিয়ে হঠাৎ করেই হোঁচট। এরপর থেকে বলতে গেলে বাংলাদেশকে একা টেনেছেন সাকিব। ছয়টি জুটির অংশ ছিলেন, তার মধ্যে সর্বোচ্চ ৪৯ রান উঠেছে আফিফের সঙ্গে তাঁর জুটিতে। সাকিব ফিরেছেন ৪৯তম ওভারে।

চট্টগ্রামের চিরায়ত উইকেটের চেয়ে একটু মন্থর, নিচু বাউন্সের উইকেট। তবে পরের দিকে তুলনামূলক সোজা মনে হয়েছে ব্যাটিং। এমন উইকেটেও ২৪৬ রানের সংগ্রহ নিয়ে ইংল্যান্ডকে আটকাতে বেশ কঠিন কাজই করতে হবে বাংলাদেশ বোলারদের, সঙ্গে ফিল্ডারদেরও।

বাংলাদেশি বোলাররা শুরুটা ভালো করতে পারেননি। ইংলিশদের ওপেনিং জুটিটাই বড় একটা ঝড় বইয়ে দেয়। তবে এরপর দারুণভাবে লড়াইয়ে ফিরেছে টাইগাররা।

নবম ওভারে সাকিব আল হাসান ভাঙেন ৫৪ বলে ৫৪ রানের মারকুটে ওপেনিং জুটি। ২৫ বলে ৩৫ করে কভারে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দেন সল্ট। এরপরের ওভারে এবাদত হোসেন হানেন আঘাত। মিডঅনে মাহমুদউল্লাহর হাতেই ক্যাচ দেন মালান (০)।

এরপর সাকিবের দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড সেট ব্যাটার জেসন রয় (৩৩ বলে ১৯)। ৫৪ থেকে ৫৫, এক রানের মধ্যে ইংল্যান্ডের তিন উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ।

কিন্তু প্রমোশন পেয়ে ওপরে উঠা স্যাম কারান আর জেমস ভিন্স ফের প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। চতুর্থ উইকেটে তাদের ৪৯ রানের জুটিটি অবশেষে ভাঙলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। মিরাজকে তুলে মারতে গিয়ে লংঅফ বাউন্ডারিতে লিটন দাসের সহজ ক্যাচ হয়েছেন কারান (২৩)।

এরপর সেট ব্যাটার জেমস ভিন্সকে (৩৮) নিজের তৃতীয় শিকার বানান সাকিব। ক্রিজে থিতু হওয়ার আগেই এবাদত হোসেন বোল্ড করে দেন মঈন আলিকে (২)। এর পর আর শক্তভাবে দাড়াতে পারেনী কেউই। শেষমেষ ৬ ওভার ৫ বল বাকি থাকতেই ১৯৬ রানে এসে থেমে যায় ইংলিশরা। ৫০ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।