ডেস্ক রিপোর্ট : পুরো বিশ্বের ফুটবল প্রেমীদের কাঁদিয়ে ওপারে চলে গেলেন পেলে। গত শুক্রবার রাতে সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ব্রাজিলকে তিন বার বিশ্বকাপ জেতানো এ তারকা। দীর্ঘদিন ধরেই ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন কিংবদন্তি এ ফুটবলার। কাতারে হয়ে যাওয়া এবারের বিশ্বকাপ চলাকালে স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। তবে বিধাতা চেয়েছিলেন পেলেকে আরও একটি বড়দিনের স্বাদ দিতে। তাই তো বড়দিনের তিন দিনের মাথায় বিদায় নিতে হল পেলেকে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।

কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত পেলেকে নভেম্বরের শেষ দিকে হৃদযন্ত্রের সমস্যা ও শরীর ফুলে যাওয়ায় সাও পাওলোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা কাজ না করায় তাকে প্যালিয়েটিভ কেয়ারে রাখা হয়েছিল।হাসপাতালেই পরিবারের সঙ্গে পেলে বড়দিন কাটিয়েছেন। ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে নিজের শারীরিক অবস্থার আপডেট ভক্তদের কাছে পৌঁছে দিতেন তিনি। চিকিৎসা কাজ করছে না জানার পরও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন বলে আশ্বস্ত করেছেন ভক্তদের। তবে শেষ লড়াইটা জিততে পারলেন না। তবে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে পেলে বিদায় নিলেও এখনও জীবিত আছেন তার মা।

মাত্র এক মাস আগেই মাকে শততম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন কিংবদন্তি ফুটবলার নিজেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মায়ের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে দিয়েছেন আবেগঘন বার্তা। পেলের মা, সেলেস্তি ব্রাজিলের টেস কোরাকো শহরে জন্মগ্রহণ করেন। পেলের জন্মের পর পরিবার নিয়ে তারা চলে আসেন বুরাউতে। কিশোর পেলের ফুটবল যাত্রার শুরু সেখান থেকেই। ফুটবল ক্যারিয়ারে পেলেকে সব ধরনের উৎসাহ জুগিয়েছেন তার মা। সম্প্রতি ও গ্লোব নামক এক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ব্রাজিলিয়ান মাদার অব দ্য ইয়ার স্বীকৃতি পেয়েছেন সেলেস্তি।

বর্তমানে ব্রাজিলের সান্তোস শহরে আছেন সেলেস্তি। পেলের শেষ কৃত্যও করা হবে সেখানেই। তবে এর আগে কিংবদন্তি ফুটবলারের ইচ্ছা অনুযায়ী তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে সান্তোসের ক্লাব প্রাঙ্গনে। এরপর সান্তোসের রাস্তায় রাস্তায় হবে ‘শেষ যাত্রা’। সেখান থেকে পেলের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে মায়ের কাছে। মায়ের কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার পর তাকে সমাহিত করা হবে মেমোরিয়া নেকরোপোল একিউমেনিকা নামক এক সমাধিস্থলে।